বনগাঁলোকাল: তিলোত্তমা বসু

0
330

বিকেল-আকাশে ‘দৃষ্টিপ্রদীপ ’ উপন্যাসের
আশ্চর্য মেঘেরা
শেয়ালদাস্টেশনের থেকে বনগাঁলোকাল ছেড়ে দিল …

ভিড় কামরায় কে আমি , কে সীতা, কে যে  দাদা , কে বা পাগল -হয়ে -যাওয়া বাবা আর
ছেঁড়া -শাড়ি- পরা মা আমার ?
ট্রেনের হু হু – হু হু- হু হু – জানলা
গুমা- বিড়া- হাবড়ার বিড়িটানা চাঁদ  হারমোনিয়াম বাজিয়ে রসের ভিয়েন বসায় , আকাশজুড়ে….
সে কী বালিশ -ফাটানো , তুলো -ওড়া দুঃসহ জোৎস্না !

চাঁদপাড়ায় পৌঁছতে হকারের চোখে  সিগন্যালের আলো সবুজ হয়ে আসে ….  প্রতিটি স্টেশনে ভেসে আসে দৈববানী
সত্যি আর স্বপ্নের পাশাপাশি সিট —
কে আর জায়গা ছেড়ে দেয় ?

যৌবন থেকে অভিজ্ঞতার দিকে চলে যায় বারো বগি …
শিয়ালদাস্টেশন থেকে বিভূতিভূষণের দিকে যেতে যেতে টের পাই —
ইছামতি বুকের ভেতরে , জলে তার সূর্য ডুবে আছে
পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় জন্মান্তর …