Home বাংলা কবিতা

বাংলা কবিতা

ধ্রুব মুখোপাধ্যায়বিশ্বাসবিশ্বাস – হাঁটে, চলে, গাছে চড়ে চাঁদ খায়।তারপর বিড়ালের মতো ঘাস খোঁজে।ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হলে নদীর জলেবাতাসের আবদার শোনে চোখ বুজে।বিশ্বাস - মৃত আত্মার মতো দেহ খায়।চুপিসারে বিষ মেশায় চাঁদে,মৌচাক ভাঙার ধোঁয়া নিয়ে তাড়া করে,বিশ্বাস, কাঁচা মাংস, নাৎসি-ইহুদি দিয়ে রাঁধে।কঙ্কালের চোখে জল দেখবে বলেকাঁদানে গ্যাসের মতো, আজন্ম অপেক্ষা...
তানিয়া চক্রবর্তীজন্ম  ২২শে নভেম্বর, ১৯৯০প্রথম কবিতা প্রকাশ ২০১১ সালে। এরপর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি। প্রকাশিত কবিতার বই: কিছু একটার জন্য, পুরুষের বাড়ি মেসোপটেমিয়া, রাহুকেন্দ্রিক ঋতুকাল, লম্পট, আমিষ বিবাহ, জুনিপোকার আলোয় বাঁধা ঘর, পুতুল মানুষ। গদ্যের বই: কাঠপুত্‌লির বৈতরণি। কবিতার জন্য পেয়েছেন কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত পুরস্কার, চাকা সাহিত্য সম্মান।আমিখাটের দুই...
সুবীর সরকার জন্ম ১৯৭০ সালে। বেড়ে ওঠা উত্তর জনপদের কোচবিহার শহরে। নয়ের দশকে কবিতা লিখতে এসেছেন। ভিন্নধর্মী গদ্যও নিয়মিত লিখে থাকেন। বেশ কয়েকটি কবিতা ও গদ্যের বই রয়েছে। লেখা পড়া আর হাটগঞ্জের ভিতর ঘুরে বেড়ানোর যাপনেই মেতে থাকেন। প্রকাশিত হয়েছে একাধিক কবিতার বই।বাহান্নঘর কলোনি থেকেবাহান্নঘর কলোনি থেকে আমি আর্তনাদ তুলেএনেছিজোড়া...
মুজিব ইরম জন্ম বাংলাদেশে। পড়াশোনা করেছেন সিলেট, ঢাকা ও যুক্তরাজ্যে। বর্তমান বসবাস ব্রিটেনে। তাঁর ১ম কবিতার বই মুজিব ইরম ভনে শোনে কাব্যবান প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালে, বাংলা একাডেমি থেকে। কয়েকটি কবিতাগ্রন্থের নাম: ইরমকথা, লালবই, শ্রীহট্টকীর্তন, পাঠ্যবই ইত্যাদি। কবিতা ছাড়াও গল্প, উপন্যাস এবং শিশু কিশোর সাহিত্য বিষয়ে তাঁর একাধিক বই আছে।...
অরুণাভ রাহারায়জন্ম  ১৪ই আগস্ট, ১৯৯১জন্ম  উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার শহরে। পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসা। ২০১১ সালে কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকার সময় ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রথম কবিতা প্রকাশ। পেয়েছেন বর্ণালী স্মৃতি পুরস্কার, উড়ালপুল পুরস্কার এবং সৌমেন বসু পুরস্কার। কবিতার বই তিনটি— ‘সবুজ পাতার মেঘ’(২০১০) ও ‘দিনান্তের ভাষা’(২০১৫), খামখেয়ালি পাশবালিশ (২০১৮)।অসমাপ্ত অন্দরমহলশরতের ঝলমলে...
সৈকত ঘোষরূপকথা নয়ঘটনাটা এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে,পৃথিবীর সব সম্পর্ক একটা জায়গায় এসে শেষ হয়নিজেকে গোপন করলেঅনুশোচনা বাড়ে মাত্রঘটনাটা এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারেজোয়ারের পর যেমন ভাঁটা আসেতেমনি তোমার লাবন্য খুঁজিদীর্ঘ বৃষ্টির পরসিনেমা থেকে উঠে আসা চরিত্রগুলো ঘুরপাক খায়আমি জীবিত,মৃত্যু লিখি ...জরাসন্ধের বিছানাভূ-ত্বকের নীচে ক্রমাগত বিস্তার পাচ্ছে অধিকারবোধআমাদের জামাগুলো...
কামাল চৌধুরী | জন্ম ১৯৫৭ বাংলা ভাষার অগ্রগণ্য কবি। তাঁর কয়েকটি বইয়ের নাম এই পথ এই কোলাহল, এই মেঘ বিদ্যুতে ভরা, রোদ বৃষ্টি অন্ত্যমিল, পান্থশালার ঘোড়া ইত্যাদি। ২০১২ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার। বসবাস ঢাকায়। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১৭ সালে। একটি দাদাবাদী কবিতা ভেতরে ভেতরে দাদা, তুমি দাদা ভেতরে ভেতরে পরাবাস্তব ইটা...
অরুণ পাঠক শূন্য দশকের কবি। জন্ম ১৯৭৬ সালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় পিতৃভিটেতে আজন্ম বসবাস। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গভাষা ও সাহিত্য- এ স্নাতকোত্তর এবং ওই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ফকিরচাঁদ কলেজ (বি.এড বিভাগ) থেকে শিক্ষক শিক্ষণ ডিগ্রিপ্রাপ্ত। শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ এগারোটি। সম্পাদিত পত্রিকা: সাহিত্যের বেলাভূমি। প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়া স্বপ্নের টুকরোগুলোই জীবন যে...
দেবায়ন চৌধুরীজন্ম: ১৯৮৭কোচবিহারে কেটেছে শৈশব। বর্তমানে কলকাতাবাসী। পেশা- অধ্যাপনা। বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র ও লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: যা কিছু আজ ব্যক্তিগত, সম্পাদিত গ্রন্থ: দুর্গামঙ্গল, কোচবিহার: ইতিহাস ও সাহিত্য, কোচবিহার দর্পণ: নির্বাচিত প্রবন্ধ ১খোয়াইমায়ের উদ্বেগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আমার কান্নারাঝরে পড়বার কোনও উপলক্ষ্য থাকে না। তবু…শ্রাবণের...
সৌমাভ জন্ম পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন থেকে এম ফিলের পর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে গবেষণারত। প্রকাশিত কবিতার বই 'যতটা না ছিলে সম্পর্কে', 'জল, জানালা ও জন্নত'। দিল্লি ২০২০ ভারতবর্ষ কোন দিকে (২৫ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১১টা) আজাদ মার্কেট, আইস ফ্যাক্টরি পেরিয়ে ডানদিকে মালকাগঞ্জ ঢোকার আগেই সবাইকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হল, ‘উস তরফ নেহি যায়েগা ...জলদি...
তাপস কুমার রায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থনীতির গবেষক তাপস কুমার রায়। তিনি একজন চিত্রশিল্পীও। প্রকাশিত হয়েছে কবিতার বই 'ঘর খোঁজা সন্ধ্যারা'। দ্বন্দ্ব রাধার ঘরে কৃষ্ণ আঁধার, ভক্তের মনে সুখ বৈষ্ণবেরা বুঝতো যদি আয়ান ঘোষের দুখ। মৃত্যু নরম পায়ে নদীর ঘরে হাঁটতে গেলো মেয়ে প্রথমে দাঁড়ি পরে কমা ক্রমে বিন্দু হতে চেয়ে চোখের সাদায় সন্ধ্যা ঘনায় শব্দহীন পথে আবছা তরল...
“in the silence behind what can be heard lies the answers we have been saerching for so long’’ Andreas fransson একটা পোকার ভোঁ ভোঁ আওয়াজ অনেকক্ষণ মাথার মধ্যে বাজছিল। খুব সহজেই ওকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যেতে পারতাম আমি।হয়ত,সেটাই ও চেয়েছিল। গরমের দিন সন্ধেবেলায় আশ্চর্য হাওয়াটার জন্য অথবা অন্য কোনও কারণে,জানি...
অনিকেশ দাশগুপ্ত | জন্ম ১৯৮৭ বসবাস মালদায়। পেশায় স্কুল শিক্ষক। কয়েক বছর ধরে নানা পত্রপত্রিকায় লিখে চলেছেন। এখনও বই প্রকাশিত হয়নি। বিদায় তুমি দৌড়ে যেতে পার এমনভাবে যেন আড়াল থেকে কেউ ডোরাকাটা আলো ফেলছে... শুভরাত্রি ! বাতাসমুখর এই রাতে তীক্ষ্ণ বাঁক নিয়ে প্রত্যেকেই অদৃশ্য ভূ-ভারতে একটা পাঁচ ব্যাটারির টর্চ জ্বালো দেখো দস্তানা দুলিয়ে বিদায় চাইছে আরও হাত ... শিমূল...
বিশ্বজিৎশব্দের বিপরীতে১চুপ থাকাএক অসম্ভব শিল্প।জানি,কেউ কারোর ধার ধারে নাকেউ কারোর ঘর চালায় না।তবুও টিকিটএকই স্টেশনের দিকে…২অসুখ-বিসুখেতুমি থাকাটা জরুরি।তুমি নামটাই সব…সারাদিন পারদ ওঠে-নামেতুমিও ওঠা,নামার ভেতরপৃথিবীজুড়ে একটা কার্ফু চলছে৩জন্ম নিয়ে প্রশ্ন বাড়েশিক্ষার কোনও শেষ নেই।শূন্য বাড়তে বাড়তেসংখ্যারাও মুখোমুখি ভাস্কর্যে…৪মৈথুন শেষেসব অভিমান কেটে যায়।দিন বদলে আলোর কাছাকাছিছুঁয়ে যাই…একে অপরের মুহুর্ত
সৌম্যজিৎ আচার্যকবি,গল্পকার। অনুবাদও করেন।লেখা প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার বিভিন্ন সংবাদপত্র ও পত্র পত্রিকায়।তাঁর কবিতা অনুবাদ হয়েছে ইংরেজি ভাষায়।সম্প্রচারিত হয়েছে বলিভিয়ার একাধিক এফ এম বেতার অনুষ্ঠানে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আট।এক ফেরিওয়ালা এসেছিলএক ফেরিওয়ালা এসেছিলগ্রামে,শহরে প্রতিটা রাস্তায়হেঁকেছিল জোরে জোরেটোকা দিয়েছিল দরজায়বাতিল লণ্ঠন নেবে বলেআজ দেখো,সেসব...
ওবায়েদ আকাশ গত শতকের নব্বইয়ের দশকের কবি। জন্ম ১৯৭৩ সালে, বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার সুলতানপুর গ্রামে। বসবাস ঢাকায়। একাডেমিক পড়াশোনা : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশা : গণমাধ্যমে চাকরি। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা: কবিতা, অনুবাদ, গল্প, প্রবন্ধ, সম্পাদনা মিলিয়ে ৪০টি। এর মধ্যে মৌলিক কাব্যগ্রন্থ ২০টি। সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিন শালুক (১৯৯৯-২০২০)। রোগাপটকা কুসুম খ্যাতির চূড়ান্ত...
তাপস চক্রবর্তীজন্ম ১৯৭৪পেশা- ইঞ্জিনিয়ারপ্রকাশিত গ্রন্থ- কবি ও ঈশ্বর, জলমুখোশ ও সন্ধের কবিতাগুচ্ছ, ক্রুসেডরভ্রমণঅসংখ্য মানুষ ঘোরে।তাদের অজস্র সাঙ্কেতিক ভাষাবিদেশি নাবিক বোঝে চোখে চোখেসমুদ্রপিপাসা।আছড়ে পড়ছে ঢেউ।মাঝিদের বুকে গর্ত। লবণের খাদ।ঘোর লেগে নুলিয়ারা ডোবে।ডুবে যায়। ভাসে আর্তনাদ।আজানের ঘন্টা বাজে। ঘরে ফেরে দরিদ্র নমাজী।হারায় সঙ্কেতভাষা। বিপন্ন জাহাজী । সঙ্গমধোঁওয়া ওঠে। পাক খেয়ে ধোঁওয়া চলে...
অহ নওরোজ জন্ম বাংলাদেশের যশোরে। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। চাকুরিসূত্রে সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তিনটি। সর্বশেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অতিলৌকিক কবিতাসমূহ’ জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর একটি বই লিখেছেন। ফুলদের যাতায়াত গোলাপ কীভাবে ফোটে কিংবা ঝরে যায় সেসব জেনেছে যারা অথবা জানেনি সরু-গোল দুটি চোখে কখনো দ্যাখেনি অথবা অনেকবার গহীন সকালে যখন ডুবেছে চাঁদ...
সঞ্চারী ভৌমিকপ্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্রী।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালিখি।একমাত্র বই ‘আলপনা বাড়ি‘।১.খুব বৃষ্টি  হলে  মাটির  রঙ বদলে  যায়,বৃষ্টিতে  ভেজা  নরমমাটি কে  দেখলে  আমার  মায়ের  কথা  মনে পরে;সোঁদা গন্ধের  গায়ে  লেগে  থাকে  সদ্যমাঠ থেকে  ফিরে  আসা মায়ের  ক্লান্তিজল।বৃষ্টিতে  মাটির  সর্বশরীর  ভেজে, আগুনআঁচ  আমার  মায়ের  শরীর  ভেজায়।তখন...
দেশভাগ সম্পত্তিটুকু ভাগ হল একদিকে হাঁড়িপাতিল, রঙিন মাছের আঁশটে গড়িয়ে পড়া জল নুনের ভাড় হেঁসেলের ধোঁয়া, অন্যদিকে স্মৃতিজ্বলা মুখ ও হৃদয়ের বিভূতি শ্যামবর্ণ ধূসর চৌকাঠ আর নরোম জ্যোৎস্না। কিছু আত্মকেন্দ্রিক মানুষ অনতিক্রম্য মাতাল হাওয়া বন্ধক রাখে চণ্ডাল বিচারকের দুই হাতে। এইভাবে চুরমার ভস্মছাই হয় পুতুল সংসার, নির্মাণের হাতিয়ার ভেঙে পড়ে আর্তচিৎকারে; সম্পত্তিটুকু তখনো দূরে দাঁড়িয়ে গোপন মুদ্রায় জাগে এক অনভিপ্রেত সকাল! কান্নার দাগ...