বেবী সাউমূলত কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ বনঘাঘরা, ইউথেনেশিয়া, গান লেখে লালনদুহিতা, ছয় মহলা বাড়ি, একান্ন শরীরে ভাঙো। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের এক লুপ্তপ্রায় লোকসঙ্গীত নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা গ্রন্থ- ‘কাঁদনাগীত: সংগ্রহ ও ইতিবৃত্ত।’ভোটঅবিশ্বাস ঘুরে ঘুরে আসে গোলচত্বরের পাশে বিপ্লবের দেহমাছি ওড়ে উৎসুক জনতা তারাক্ষোভ নেই, শান্তি নেইশুধু...
তানিয়া চক্রবর্তীজন্ম  ২২শে নভেম্বর, ১৯৯০প্রথম কবিতা প্রকাশ ২০১১ সালে। এরপর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি। প্রকাশিত কবিতার বই: কিছু একটার জন্য, পুরুষের বাড়ি মেসোপটেমিয়া, রাহুকেন্দ্রিক ঋতুকাল, লম্পট, আমিষ বিবাহ, জুনিপোকার আলোয় বাঁধা ঘর, পুতুল মানুষ। গদ্যের বই: কাঠপুত্‌লির বৈতরণি। কবিতার জন্য পেয়েছেন কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত পুরস্কার, চাকা সাহিত্য সম্মান।আমিখাটের দুই...
দেবায়ন চৌধুরীজন্ম: ১৯৮৭কোচবিহারে কেটেছে শৈশব। বর্তমানে কলকাতাবাসী। পেশা- অধ্যাপনা। বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র ও লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: যা কিছু আজ ব্যক্তিগত, সম্পাদিত গ্রন্থ: দুর্গামঙ্গল, কোচবিহার: ইতিহাস ও সাহিত্য, কোচবিহার দর্পণ: নির্বাচিত প্রবন্ধ ১খোয়াইমায়ের উদ্বেগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আমার কান্নারাঝরে পড়বার কোনও উপলক্ষ্য থাকে না। তবু…শ্রাবণের...
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়বিশ্বাসবিশ্বাস – হাঁটে, চলে, গাছে চড়ে চাঁদ খায়।তারপর বিড়ালের মতো ঘাস খোঁজে।ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হলে নদীর জলেবাতাসের আবদার শোনে চোখ বুজে।বিশ্বাস - মৃত আত্মার মতো দেহ খায়।চুপিসারে বিষ মেশায় চাঁদে,মৌচাক ভাঙার ধোঁয়া নিয়ে তাড়া করে,বিশ্বাস, কাঁচা মাংস, নাৎসি-ইহুদি দিয়ে রাঁধে।কঙ্কালের চোখে জল দেখবে বলেকাঁদানে গ্যাসের মতো, আজন্ম অপেক্ষা...
মৌমিতা পাল ততোধিকডুবতে পারিনি।হারাতে পারি না।ঘুমিয়ে জাগার চেয়ে কষ্টকর কিছু নেই।শেষ না করে আরম্ভ করার মধ্যে বঞ্চনাযেহেতু, আমি জানি ব্যাধির বীজে মসৃণ ভেনাস।শরীরে মেঘনার গান নিয়ে মেরুচূড়ারা জনহীন।যদি তুমি মানো, তবে রেশমী আড়াল,পর্দায় ঢাকা বাড়ি, আরধনুকের বিস্তীর্ণ সংক্রমণেপ্রজাপতির বিভ্রমণ।যদিও বিনিদ্র দিনরাত ঘোরে।(শরীরে ঘনিষ্ঠ রূপসীর বিপরীত মায়া নিয়ে প্রেম জ্বালিয়ে ছিল...
জাহিদ সোহাগমানুষএ-ও এক বিশ্বাস, যারা আগুনের অবশেষ দেখে ছাই; আমি এর উল্টো দেখি। যেমন, মানুষ স্থির, গাছ ভ্রমণশীল : রক্তপাত ও আদর্শ তাদের দরকার।মানুষের কিছু নেই বুক ফাটিয়ে সোনালু জন্ম দেয়া ছাড়া, অন্য সময়ে লাল। যেমন প্রেমের চেয়ে পরিখার কুমির সহনীয়।  সিরিয়া সারাদিন শূন্যে তাকিয়েছিলাম। মনে হলো রুটিবৃষ্টি হবে শিগগিরই। রাত মানে...
পারমিতা মুন্সীকবিপক্ষ দগ্ধ বৈশাখে মিশে থাকে কাঁঠালচাঁপা বাস-যেমন প্রেমের মধ্যে লুকিয়ে থাকে লোভ-প্রজাপালকের অপ্রীতি জুড়ে থাকে তারঠোঁট ভাঁজ করা হাসি-তেমনই তোমারমধ্যে থাকা অন্য 'তুমি'-কে খুঁজে চলি-ভালো আছেন? কতখানি ভালো?আপনার চোখের নীচে জমাট কেন ধূসর?দন্ডসারস উল্টে গেল টের পেলেন না?কুজ্ঝটিকা ও মায়াদর্পণের এই খেলাচলতে থাকে দেখা হলেই...স্বত্ত্বেওকিছু জিনিস একঘেঁয়ে লাগে...
মানিক সাহাজ্বরগালে স্পর্শ পাই। ডুবে যেতে থাকি জ্বরে। আমার কিশোর বয়স। পুটিদি ভরা নদী হয়ে পাশে বসে থাকে। ওর বাঁকগুলি দেখে মনে হয় বাঁশঝাড়ের আড়াল। মনে হয় নির্জন এক কোনে লুকিয়ে রাখা নৌকা। তোমার ঐ নৌকায় আমাকে চড়তে দেবে, কোনদিন বলতে পারিনি। অথচ আমার মাঝি হওয়ার ইচ্ছে ছিল ষোলোআনা।একদিন...
ব্রহ্মজিৎ সরকারপ্রথম দশকের কবি। সীমান্ত ঘেরা ছোট্ট জনবসতি হলদিবাড়িতে বেড়ে ওঠা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালিখি। প্রকাশিত কবিতার বই ‘জড়িয়ে আছি কাঁটাতার’।চেপে রাখা কান্নাএকটা সকাল এসে, হাওয়া আর মেঘ এসেবন্ধ জানালা খুলে দিকপৃথিবীতে কি কারণে ঘুমঅন্ধ কুয়োর মত মজে আছে!পুরুষেরা কেন আজ বামন হয়ে গেছে?স্বপ্নের ভেতর যারা পেরিয়ে এসেছে নদীসেই সাঁকো...
পল্লবী মুখোপাধ্যায়জন্ম কল্যাণীতে। বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগ্রামে স্থায়ী ঠিকানা। বাংলায় স্নাতক হওয়ার পর বাংলা ও শিক্ষা বিজ্ঞান উভয় বিষয়ে স্নাতকোত্তর। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি খুব ছোটবেলা থেকেই  তাঁর লেখালিখির শুরু।  সেইসব দারুণ শৈশব আর কৈশোরের দিনগুলোতে ছোট বোনের সহচর্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  পরবর্তী কালে কলেজ জীবনে আসেন আরো একজন...
কিশোর ঘোষগভীরতাঅন্ধকার জ্বলে উঠতেই বোঝা গেল রাত্রিমাঠ মাঠ কৃষিখেতের কবরশুকনো ফুলের মতো কৃষকের হৃদপিণ্ডপড়ে আছে সমাধিপথেরপাথরের বুকের উপর...আর ওই মৌন চাঁদ, চৈতন্যের আত্মহত্যার সাক্ষীর মতোমহাপ্রভু গভীরতা---ওর আলোর কীর্তন আমাদের মায়ের মতোনসুর করে জাগেওর পদাবলি আয়ু, প্রেমিকার মতো নরমিয়া২অতএব, রোগাটে পাড়ার পেটেবাড়ে অবৈধ দিগন্তের তলানি তারা,দূরকে কাছের করেদূরত্ব ভোলানো আবদারেপথ-ঘাট...
বিশ্বজিৎশব্দের বিপরীতে১চুপ থাকাএক অসম্ভব শিল্প।জানি,কেউ কারোর ধার ধারে নাকেউ কারোর ঘর চালায় না।তবুও টিকিটএকই স্টেশনের দিকে…২অসুখ-বিসুখেতুমি থাকাটা জরুরি।তুমি নামটাই সব…সারাদিন পারদ ওঠে-নামেতুমিও ওঠা,নামার ভেতরপৃথিবীজুড়ে একটা কার্ফু চলছে৩জন্ম নিয়ে প্রশ্ন বাড়েশিক্ষার কোনও শেষ নেই।শূন্য বাড়তে বাড়তেসংখ্যারাও মুখোমুখি ভাস্কর্যে…৪মৈথুন শেষেসব অভিমান কেটে যায়।দিন বদলে আলোর কাছাকাছিছুঁয়ে যাই…একে অপরের মুহুর্ত
দীপ শেখর চক্রবর্তীছায়া সম্পর্কে যতটুকু আমি জানিকিছুদিন ছায়ার কথা না লেখা হলে আমি মোটেই ভালো থাকি না।অযথা লোকের সাথে খিটমিট করি,অথবা গুমরে গুমরে নিজেকে করে তুলি আস্ত একটা ব্যথার পুতুল।ছায়া, যে গা এলিয়ে শুয়ে থাকে, ব্যস্ত হয় না।চারপাশে কড়া রোদের জীবন যাকে দেখে ছিঃ ছিঃ করে-বলে,এতটাও নিশ্চিত থাকা ভালো...
রাজদীপ পুরীজন্ম  ১১ই  অক্টোবর, ১৯৮৫জন্ম  উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাকপুর শহরে।  শৈশবে কিছুদিন কাটে মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারে।  সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময় ‘শুকতারা’ পত্রিকায় প্রথম কবিতা প্রকাশ। পরবর্তী সময়ে ‘উনিশ কুড়ি’, ‘সানন্দা’, ‘তথ্যকেন্দ্র’, ‘কবিসম্মেলন’, ‘মধ্যবর্তী’, ‘কৃত্তিবাস’ সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও লিটিল ম্যাগাজিনে লেখালিখি। কবিতার বই চারটি— ‘হলুদ প্রেমের কবিতা’, ‘শুরুয়াৎ’,...
অরুণাভ রাহারায়জন্ম  ১৪ই আগস্ট, ১৯৯১জন্ম  উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার শহরে। পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসা। ২০১১ সালে কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকার সময় ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রথম কবিতা প্রকাশ। পেয়েছেন বর্ণালী স্মৃতি পুরস্কার, উড়ালপুল পুরস্কার এবং সৌমেন বসু পুরস্কার। কবিতার বই তিনটি— ‘সবুজ পাতার মেঘ’(২০১০) ও ‘দিনান্তের ভাষা’(২০১৫), খামখেয়ালি পাশবালিশ (২০১৮)।অসমাপ্ত অন্দরমহলশরতের ঝলমলে...
শাশ্বতী সান্যালদাঁড়কাকনা, আমার কোনো পোষা দাঁড়কাক নেইতাদের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিলো সাতাশ বছর আগেযে মানুষটা আমাকে সাদা দাঁড়কাক দেখানোর গল্প বলেছিলোখুব মনে করে দেখলাম, তার নাম নাদের আলি নয়অর্থাৎ বলা যায়, আমি এবং দাঁড়কাকঅথবা, দাঁড়কাক এবং আমিদীর্ঘদিন পরস্পরের প্রতি সৌজন্যমূলক দূরত্ব বজায় রেখেছি...এখন সমস্যা হল, ইদানিং আমি একটা বহুতলে...
ছন্দম মুখোপাধ্যায়ছায়া গণকতাকানো যেতে পারেসমৃদ্ধ কৃষকের স্ত্রী হবার পরবুঝেছি ফসল ঈশ্বরী নয়গোসাপযে, ঘামে, হাসির আড়ালে,স্পর্শটুকু কেড়ে রাখেআমি দাঁড়িয়ে থাকলাম,দেহসাঁটা আলোয়, মাঠের একপাশেযেখানে কোনো স্বপ্নের উদ্বৃত্ত পড়ে আছেসফরজেগে উঠেছেপুড়ে যাওয়া গো-হরণের খালযাকে ঘিরে রয়েছেসুয়েজের থেকেও গভীর একটি রাতধাক্কা নেই,চারপাশে মৃত জনপদতৃতীয় পৃথিবীএ-সবের ভেতরলণ্ঠনের আলোয় রোগা হয়ে যাওয়ানদীর মতো মা, তোমার...
সৈকত ঘোষরূপকথা নয়ঘটনাটা এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে,পৃথিবীর সব সম্পর্ক একটা জায়গায় এসে শেষ হয়নিজেকে গোপন করলেঅনুশোচনা বাড়ে মাত্রঘটনাটা এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারেজোয়ারের পর যেমন ভাঁটা আসেতেমনি তোমার লাবন্য খুঁজিদীর্ঘ বৃষ্টির পরসিনেমা থেকে উঠে আসা চরিত্রগুলো ঘুরপাক খায়আমি জীবিত,মৃত্যু লিখি ...জরাসন্ধের বিছানাভূ-ত্বকের নীচে ক্রমাগত বিস্তার পাচ্ছে অধিকারবোধআমাদের জামাগুলো...
অমিতকুমার বিশ্বাসগানসমস্তদিনের শেষে গান এলেরক্ত ছলকে ওঠে ঢেউএক-একটা ঢেউ ক্রমশ ভাসিয়ে নেয়... হলুদ বিকেল...পোড়া বাঁশি....আর আমার কিশোরী মায়ের স্বরলিপির ছেঁড়া খাতাদিগন্ত পেরিয়ে যখন গান আসেএকটু- একটু ভিজতে থাকি আমিভিজে যায় সংকীর্ণ সাঁকো,মৃতগাছঈশ্বরীর প্রতিশুনছো?পালক ঝরছেধোঁয়া-ওঠা তপ্ত সাদাভাতের মতোশুশ্রুষাময় পালক ঝরে পড়ছে হেমন্তভোরে।কেউ কি অাসবে?কালো চিতার মতো রোমশ অন্ধকার ক্রমশ গিলে...