সুদীপ বসুজন্ম ১৯৬৭ -তে, কলকাতায়। প্রথম কবিতার বই 'অনিন্দিতা বাসস্টপ' প্রকাশ পায় ১৯৯৪ সালে। পরে ক্রমশ প্রকাশিত হয়েছে আরো আটটি মৌলিক কবিতার বই, একটি গদ্যগ্রন্থ ও একটি গল্পসংকলন। বিশ্বসাহিত্যের অনুবাদগ্রন্থ রয়েছে ছয়টি। সম্পাদনা করেছেন অমল চন্দের গল্পসংগ্রহ। সুদীপ 'আন্তর্জাতিক সম্পর্ক' বিষয়ে স্নাতকোত্তর।অকালমৃতার ডায়েরি থেকেমা বলত, ‘তোকে যোগিন্দর সিং-এর কাছে...
তুষার কবিরজন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করার পর তিনি এম.বি.এ. করেছেন মার্কেটিং বিভাগ থেকে। এ যাবত তাঁর ১২টি কবিতার বই এবং একটি কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধের বই প্রকাশিত হয়েছে।বেহালাহাওয়ায় উড়ছে শুধুই হাহাকারকোভিড ছড়ানো এ সন্ধ্যায়—গোধূলির লালাভ আলোতে গান গায়এক...
তানিয়া চক্রবর্তীজন্ম  ২২শে নভেম্বর, ১৯৯০প্রথম কবিতা প্রকাশ ২০১১ সালে। এরপর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি। প্রকাশিত কবিতার বই: কিছু একটার জন্য, পুরুষের বাড়ি মেসোপটেমিয়া, রাহুকেন্দ্রিক ঋতুকাল, লম্পট, আমিষ বিবাহ, জুনিপোকার আলোয় বাঁধা ঘর, পুতুল মানুষ। গদ্যের বই: কাঠপুত্‌লির বৈতরণি। কবিতার জন্য পেয়েছেন কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত পুরস্কার, চাকা সাহিত্য সম্মান।আমিখাটের দুই...
বিকাশ দাশজন্ম ১৯৬৬ সালের পুরুলিয়া জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মানভূম ভাষা নিয়ে গবেষণা করছেন। কয়েকটি সংকলন-গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। জীবিকা শিক্ষকতা।ধানক্ষেতে ঢুলছে খামারকিছু কিছু ঘুম চেয়ারে বসে পা দোলাচ্ছে ক্লান্তিরা ধান রুইছে নির্মাণেরআকাশ করুণা ঢালছে নিরন্তরআর মাথার উপর উড়ে যাচ্ছে লক্ষ পৃথিবী ।মেঘেদের সঙ্গম দেখে জলপাই রঙের...
কিশোর ঘোষগভীরতাঅন্ধকার জ্বলে উঠতেই বোঝা গেল রাত্রিমাঠ মাঠ কৃষিখেতের কবরশুকনো ফুলের মতো কৃষকের হৃদপিণ্ডপড়ে আছে সমাধিপথেরপাথরের বুকের উপর...আর ওই মৌন চাঁদ, চৈতন্যের আত্মহত্যার সাক্ষীর মতোমহাপ্রভু গভীরতা---ওর আলোর কীর্তন আমাদের মায়ের মতোনসুর করে জাগেওর পদাবলি আয়ু, প্রেমিকার মতো নরমিয়া২অতএব, রোগাটে পাড়ার পেটেবাড়ে অবৈধ দিগন্তের তলানি তারা,দূরকে কাছের করেদূরত্ব ভোলানো আবদারেপথ-ঘাট...
অহ নওরোজ জন্ম বাংলাদেশের যশোরে। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। চাকুরিসূত্রে সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ তিনটি। সর্বশেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অতিলৌকিক কবিতাসমূহ’ জার্মান ভাষায় অনূদিত হয়েছে। কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর একটি বই লিখেছেন। ফুলদের যাতায়াত গোলাপ কীভাবে ফোটে কিংবা ঝরে যায় সেসব জেনেছে যারা অথবা জানেনি সরু-গোল দুটি চোখে কখনো দ্যাখেনি অথবা অনেকবার গহীন সকালে যখন ডুবেছে চাঁদ...
হাবীবুল্লাহ সিরাজী | জন্ম ১৯৪৮ বাংলা ভাষার অগ্রগণ্য কবি। বসবাস ঢাকায়। তাঁর একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি বইয়ের নাম-- 'কত কাছে জলছত্র', 'কত দূর চেরাপুঞ্জি', 'কাদামাখা পা', 'ভুলের কোনও শুদ্ধ বানান নেই', 'শূন্য, পূর্বে না উত্তরে', 'আমার জ্যামিতি' ইত্যাদি। ২০১৬ সালে সম্মানিত হয়েছেন একুশে পদকে। বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। পরীক্ষা প্রার্থনীয় শাদা...
বেবী সাউমূলত কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ বনঘাঘরা, ইউথেনেশিয়া, গান লেখে লালনদুহিতা, ছয় মহলা বাড়ি, একান্ন শরীরে ভাঙো। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের এক লুপ্তপ্রায় লোকসঙ্গীত নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা গ্রন্থ- ‘কাঁদনাগীত: সংগ্রহ ও ইতিবৃত্ত।’ভোটঅবিশ্বাস ঘুরে ঘুরে আসে গোলচত্বরের পাশে বিপ্লবের দেহমাছি ওড়ে উৎসুক জনতা তারাক্ষোভ নেই, শান্তি নেইশুধু...
শ্যামশ্রী রায় কর্মকারমূলত কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। গল্প লেখেন। অনুবাদ করেন। লেখা প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ, ব্রিটেন, ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘ফিরোজা রঙের ঘুম’। প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থগুলি হল- ‘বব ডিলান: অন্তহীন যাত্রা’, ‘বিটলস: বদলের তালে তালে’, ‘পল রোবসন: শিকল ভাঙার গান’।প্রবল ঝড়ের আগেকাছে এসে বসেছে...
শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জন্ম জলপাইগুড়ি শহরে। প্রকাশিত কবিতাবই আজান সংগ্রহের ঘর, ঘুম কারখানা, জলবিষুব জংশন, যাব রাঙালিবাজনা। প্রকাশিত উপন্যাস বর্ষাদুয়ার, গল্প সংগ্রহ গল্প। নয় রকমের শীত ডুয়ার্সের জঙ্গলে নয় রকমের শীত আমি জানি; ঘন শীতের রাতে কুকুর ডাকে ভুটান পাহাড়ে, যেন প্রথম শব্দ ভুমিষ্ঠ হল এই মাঘের রাতে; তারপর হামাগুড়ি দিয়ে রাত চলে আসে আমার কম্বলে;...
উড়ালের আগে যতটা আড়াল যেভাবে গান মিহি হয়ে আসে রাতের দক্ষিণে নামে বেনামে চিনে নিতে থাকি মানচিত্র সুড়ঙ্গেরও নিচে, যেখানে টান জন্ম নেয় ডাকে, ডাকে, ডাকতেই থাকে আর কত নিচে নামবো! প্রতিবর্তে স্পষ্ট হই রোজ
সাউথ সিটি কলেজের সামনে ডিসেম্বরে যে বর বউ দশটাকায় বারোটা গোলাপ দিত, মনে হতো তারা দেবদেবী। কোন পদ্য লিখে তাদের তুষ্ট করা যেত যদি জানতাম, তাদের জন্য লিখতাম দু এক লাইন। আচ্ছা তুমি প্রেম বলতে কী বোঝ? হাতে হাত, ঠোঁটে ঠোঁট, পায়ে পা, গায়ে গা... কী বোঝ তুমি? এ চরাচরে প্রেম বলে কিছু নেই জেনে...
ফিরে আসা মানে পুরোপুরি আসা নয় একবার চলে যাওয়া মানে যেতে থাকা চোখে রাখা থাকে অশ্রুর সঞ্চয় জেনো, কিছু কিছু নদীদেরও আছে শাখা কেন যে অতল... কেন যে শ্রাবণমাস... এত স্রোত, এত সন্দেহ, চোরাবালি ভালোবাসা মানে হৃদয়ের সন্ত্রাস অক্ষরে ব্যথা অনুবাদ করে গালিব খুন হয়ে যাওয়া ছায়াটার পাশে তবু আলগোছে পড়ে থাকে শরীরের ঋণ প্রেমিকের পায়ে মাথা নত কোরো,...
শোকের কাছ ঘেঁষে অতীত নদীরা থেমে যায় আঘাত ছোঁয়াচ পেলে ভেঙে যাবে মেঘেদের বাড়ি— সেও বুঝি জল হবে, ধুলো হবে তুচ্ছ শরীর; খাঁচারা বদলে যাবে প্রতি জন্ম-অধ্যায় শেষে। কারা যে বসেছে এসে নির্বাক সময়ের কাছে একা মানুষের অন্ধকারে ঘুম আনে সমস্ত মৃতস্বর, প্রহরের অপেক্ষা শুধু— এই বুঝি সাঙ্গ হবে খেলা কীভাবে নিভে যাবে তারাদের সাবেক উৎসব। স্রোতেরা...
আজকাল সহবত শিখছি  ১ যে সমস্ত শূন্যতাকে নিজের বলে দাবি করতাম, নিতান্তই আবেগ... আয়নার দিকে তাকালে বলিরেখা বাড়ে। সময়ের কোলে পরপর যুক্তাক্ষর। হেঁটে চলি শরীরে সহজপাচ্য রোদ্দুর এরপর আয়ুযোগ হলে, ধরাকে সরা জ্ঞান করবো। চেসবোর্ডে লিখে ফেলবো সূর্যগ্রহণের নিরক্ষর কারণ। ২ সরে যায় কর্কটক্রান্তি দাগ, চেনা সংসার, ছক বাঁধা বিকেল। টুকরো অনুঘটক নিয়ে কেউ বেঁচে ফেরে,...
রাধার ছিল শতেক ঘোড়া, জিনপরানো একলাপথে হাঁটছে তবু, রাজকুমারি পথ পাথরে বেবাক তাকে ভুলিয়ে দিল তারও আছে চকমেলানো রাজার বাড়ি। কৃষ্ণকিশোর মাঠ চিনেছে ঘাট চেনেনি! যে ঘাট বেয়ে নামছে সিঁড়ি রূপসায়রে কে দিল তার বাঁশির বাতাস, চুম্বনে স্বাদ কেউ কি জানে? রঙ-বেরঙে কুৎসা ওড়ে আজকে যখন কৃষ্ণরাজের কলটি নড়ে, মিথ্যে তাকে 'ধর্ম' নামে উঠছে ডেকে! বাঁশির ফুঁয়ে দেশপ্রেমের ওড়ায়...
আর কত আলোকবর্ষ ! সকাল দুপুর মধ্য রাত বিরামহীন চলতে হবে আমি জানিনা। নিজের কোন লক্ষ্য নেই আলস্য মাখা কয়েকটি ছোট বড় চোখ ধানকুটি মাড়ানো বলদের মতো আমায় ছুঁটিয়ে বেড়ায় কেন আমি জানিনা। কাঁধের জোয়ালের কথা মনে পড়লে আমার আরও খিদে পায় অথচ ঘুম পায়না, ঘুমের দুয়ারে অক্লান্ত আমি... দন্ডি কাটি কেন আমি জানিনা। শুধু আমি এটুকু জানি যে এসব জানার জন্যই আমি...
যেকটি বৃক্ষের কাছে ক্ষমাভিক্ষা করেছি ক্ষয়িষ্ণু রীতি মেনে, যেকটি প্রার্থনাগীতি স্বরলিপি খাতা জুড়ে আলো, যেকটি হননসাধ একান্তে অপূর্ণ থেকে গেছে─ সেসব অধ্যায় যোগ করে করে পৃষ্ঠা গুনে গুনে তুমি জীবনের অদাহ্য আখ্যান রচেছিলে। এই যে বিজন রাত কিছুই দেখে না খুঁজে, সঙ্গোপনে শুধু স্থির সর্বনাশ হয়ে জেগে থাকে স্বপ্নের ভেতরে─ মেঘে কুয়াশায় ছাওয়া উঁচু-নীচু অবাস্তব গ্রাম...
স্বপ্ন যদি তর্ক করে আমি তার দু'ঠোঁটে আঙুল না রেখে বুঝিয়ে দেব বাস্তবের সবক'টা ভুল; কিন্ত ভুল ঠিক করব না। বালির ভিতরে থাকা সোনা গয়না হয়ে যদি ফিরে আসে ছোট বউ গায়ে দিয়ে, আবারও পালিয়ে যাবে সরল বিশ্বাসে... কবিতা তো জটিল বিষয় অনেকের হয় না কিন্তু কারও কারও হয়। যার হয়, তার হাতে থালা দিয়ে বাড়ো মাছ-ভাত; যার হয়...
সেই কবেকার সোনাঝুরি জঙ্গল থেকে উঠে এসেছিল শব্দটা। তারপর কত মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল পেরিয়ে মৃত্যুগন্ধ শরীরে মেখে, কমলালেবু রঙের দুপুর পেরিয়ে, থ্রি জি কিংবা ফোর জির চক্করে পড়ে ব্ল্যাকহোলের মতো পরিণত হচ্ছিল নির্মম পরিহাসে - শুধু চিলেকোঠায় পৌঁছে যখন চোখে পড়ে গেল ধুলোময় খাট, আমার বাল্যকালের পড়ার টেবিল, ভাঙা রেডিওটাকে দেখে যখন...