ব্রহ্মজিৎ সরকারপ্রথম দশকের কবি। সীমান্ত ঘেরা ছোট্ট জনবসতি হলদিবাড়িতে বেড়ে ওঠা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালিখি। প্রকাশিত কবিতার বই ‘জড়িয়ে আছি কাঁটাতার’।চেপে রাখা কান্নাএকটা সকাল এসে, হাওয়া আর মেঘ এসেবন্ধ জানালা খুলে দিকপৃথিবীতে কি কারণে ঘুমঅন্ধ কুয়োর মত মজে আছে!পুরুষেরা কেন আজ বামন হয়ে গেছে?স্বপ্নের ভেতর যারা পেরিয়ে এসেছে নদীসেই সাঁকো...
পল্লবী মুখোপাধ্যায়জন্ম কল্যাণীতে। বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগ্রামে স্থায়ী ঠিকানা। বাংলায় স্নাতক হওয়ার পর বাংলা ও শিক্ষা বিজ্ঞান উভয় বিষয়ে স্নাতকোত্তর। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি খুব ছোটবেলা থেকেই  তাঁর লেখালিখির শুরু।  সেইসব দারুণ শৈশব আর কৈশোরের দিনগুলোতে ছোট বোনের সহচর্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  পরবর্তী কালে কলেজ জীবনে আসেন আরো একজন...
ভারভারা রাও | জন্ম ১৯৪০ সালের ৩ নভেম্বর ভারভারা রাও একজন সমাজকর্মী, প্রখ্যাত কবি, সাংবাদিক, সাহিত্য সমালোচক এবং সুবক্তা। ১৯৪০ সালের ৩ নভেম্বর তেলেঙ্গানায় তাঁর জন্ম। তাঁকে তেলেগু সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সমালোচক বলে মনে করা হয়। বিগত প্রায় ষাট বছর ধরে তিনি কবিতা লিখে চলেছেন। এখানে অনুদিত ‘মেধা’ কবিতাটি তাঁর অন্যতম...
পারমিতা মুন্সীকবিপক্ষ দগ্ধ বৈশাখে মিশে থাকে কাঁঠালচাঁপা বাস-যেমন প্রেমের মধ্যে লুকিয়ে থাকে লোভ-প্রজাপালকের অপ্রীতি জুড়ে থাকে তারঠোঁট ভাঁজ করা হাসি-তেমনই তোমারমধ্যে থাকা অন্য 'তুমি'-কে খুঁজে চলি-ভালো আছেন? কতখানি ভালো?আপনার চোখের নীচে জমাট কেন ধূসর?দন্ডসারস উল্টে গেল টের পেলেন না?কুজ্ঝটিকা ও মায়াদর্পণের এই খেলাচলতে থাকে দেখা হলেই...স্বত্ত্বেওকিছু জিনিস একঘেঁয়ে লাগে...
বিকাশ দাশজন্ম ১৯৬৬ সালের পুরুলিয়া জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। মানভূম ভাষা নিয়ে গবেষণা করছেন। কয়েকটি সংকলন-গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। জীবিকা শিক্ষকতা।ধানক্ষেতে ঢুলছে খামারকিছু কিছু ঘুম চেয়ারে বসে পা দোলাচ্ছে ক্লান্তিরা ধান রুইছে নির্মাণেরআকাশ করুণা ঢালছে নিরন্তরআর মাথার উপর উড়ে যাচ্ছে লক্ষ পৃথিবী ।মেঘেদের সঙ্গম দেখে জলপাই রঙের...
শ্যামশ্রী রায় কর্মকারমূলত কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। গল্প লেখেন। অনুবাদ করেন। লেখা প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ, ব্রিটেন, ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং পত্রপত্রিকায়। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘ফিরোজা রঙের ঘুম’। প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থগুলি হল- ‘বব ডিলান: অন্তহীন যাত্রা’, ‘বিটলস: বদলের তালে তালে’, ‘পল রোবসন: শিকল ভাঙার গান’।প্রবল ঝড়ের আগেকাছে এসে বসেছে...
মিতালি চক্রবর্তী  (Mitali Chakraborty) স্বপ্নসর্বস্ব তারপর ভিন্নতা হাল ছেড়ে দূরে সরে যেতে চাইল প্রিয় গান সুরের ভিতর রয়ে যাবে অনন্তকাল, এমনটাই ঘটে গেল পাতাবাহারের ফুল দৃষ্টিনন্দন হতে পারেনি, প্রিয়তর হতে চেয়েছিল প্রাণপনে নিরালম্ব গোপনে। সমস্ত দিন কেটে যাওয়ার পর অনাবিস্কৃত রাতটি জেগে ওঠে... নতুন একটা দিন প্রসাধন সেরে ফেললেই তার ছুটি। এইভাবে সমাহিত ঘুমের বিকল্পে উৎসাহিত আত্মরতির অভিসার চলে আয়নায়।
সুদীপ বসুজন্ম ১৯৬৭ -তে, কলকাতায়। প্রথম কবিতার বই 'অনিন্দিতা বাসস্টপ' প্রকাশ পায় ১৯৯৪ সালে। পরে ক্রমশ প্রকাশিত হয়েছে আরো আটটি মৌলিক কবিতার বই, একটি গদ্যগ্রন্থ ও একটি গল্পসংকলন। বিশ্বসাহিত্যের অনুবাদগ্রন্থ রয়েছে ছয়টি। সম্পাদনা করেছেন অমল চন্দের গল্পসংগ্রহ। সুদীপ 'আন্তর্জাতিক সম্পর্ক' বিষয়ে স্নাতকোত্তর।অকালমৃতার ডায়েরি থেকেমা বলত, ‘তোকে যোগিন্দর সিং-এর কাছে...
হাবীবুল্লাহ সিরাজী | জন্ম ১৯৪৮ বাংলা ভাষার অগ্রগণ্য কবি। বসবাস ঢাকায়। তাঁর একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি বইয়ের নাম-- 'কত কাছে জলছত্র', 'কত দূর চেরাপুঞ্জি', 'কাদামাখা পা', 'ভুলের কোনও শুদ্ধ বানান নেই', 'শূন্য, পূর্বে না উত্তরে', 'আমার জ্যামিতি' ইত্যাদি। ২০১৬ সালে সম্মানিত হয়েছেন একুশে পদকে। বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। পরীক্ষা প্রার্থনীয় শাদা...
প্রণয় বটব্যাল (Pranay Batabyal) হ্যাশ ট্যাগ শীতের পাঁচালী ১. রডোডেনড্রন,দেখতে পাচ্ছিস? আজ শীতকাল ঝরাপাতা,তালতলা পিকনিক স্পট! দুটো পায়ে ভর দিয়ে বরফের দেশ থেকে আয় এখানে লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকি পাইন আর বার্চ মুকুট পরুক নৈর্ব্যক্তিক স্বপ্নের মতো টান দিয়ে এক একটা রাতে আরো ঠান্ডা পড়ুক! ২. মুড়কি মুড়ি মোয়া, কিরে কেমন আছিস? প্রতিটা দিন দুপুর ঘুম,আউটিংয়ে নার্সারি সন্ধ্যে শাঁখ আর ঝিঁঝির...
কিশোর ঘোষগভীরতাঅন্ধকার জ্বলে উঠতেই বোঝা গেল রাত্রিমাঠ মাঠ কৃষিখেতের কবরশুকনো ফুলের মতো কৃষকের হৃদপিণ্ডপড়ে আছে সমাধিপথেরপাথরের বুকের উপর...আর ওই মৌন চাঁদ, চৈতন্যের আত্মহত্যার সাক্ষীর মতোমহাপ্রভু গভীরতা---ওর আলোর কীর্তন আমাদের মায়ের মতোনসুর করে জাগেওর পদাবলি আয়ু, প্রেমিকার মতো নরমিয়া২অতএব, রোগাটে পাড়ার পেটেবাড়ে অবৈধ দিগন্তের তলানি তারা,দূরকে কাছের করেদূরত্ব ভোলানো আবদারেপথ-ঘাট...
বেবী সাউমূলত কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ বনঘাঘরা, ইউথেনেশিয়া, গান লেখে লালনদুহিতা, ছয় মহলা বাড়ি, একান্ন শরীরে ভাঙো। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলের এক লুপ্তপ্রায় লোকসঙ্গীত নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা গ্রন্থ- ‘কাঁদনাগীত: সংগ্রহ ও ইতিবৃত্ত।’ভোটঅবিশ্বাস ঘুরে ঘুরে আসে গোলচত্বরের পাশে বিপ্লবের দেহমাছি ওড়ে উৎসুক জনতা তারাক্ষোভ নেই, শান্তি নেইশুধু...
শর্বরী চৌধুরী (Sarbari Chowdhury) ব্যর্থ নিজের পায়ের ছাপ দলিত করি নিজেই ছায়া হেসে ওঠে বালুচর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গর্ত খুঁজি, যেখানে লুকোতে পারব নিজেকে। দিনবদলের গান শুনতে পেলে দুহাতে চাপা দিই কান। অসহায় অপারগতায় ক্রুদ্ধ হই নিজের ওপর ! সাফল্যের অতিরিক্ত কিছু চাইনি জীবনে, আজ সাফল্যের হাঁ-মুখ গিলে খাচ্ছে আমাকে। এ-ই আমার একমাত্র ব্যর্থতা !   ভয় আমি ভীত একটি শরীর পেয়েছি বলে ভীত...
উড়ালের আগে যতটা আড়াল যেভাবে গান মিহি হয়ে আসে রাতের দক্ষিণে নামে বেনামে চিনে নিতে থাকি মানচিত্র সুড়ঙ্গেরও নিচে, যেখানে টান জন্ম নেয় ডাকে, ডাকে, ডাকতেই থাকে আর কত নিচে নামবো! প্রতিবর্তে স্পষ্ট হই রোজ
সাউথ সিটি কলেজের সামনে ডিসেম্বরে যে বর বউ দশটাকায় বারোটা গোলাপ দিত, মনে হতো তারা দেবদেবী। কোন পদ্য লিখে তাদের তুষ্ট করা যেত যদি জানতাম, তাদের জন্য লিখতাম দু এক লাইন। আচ্ছা তুমি প্রেম বলতে কী বোঝ? হাতে হাত, ঠোঁটে ঠোঁট, পায়ে পা, গায়ে গা... কী বোঝ তুমি? এ চরাচরে প্রেম বলে কিছু নেই জেনে...
ফিরে আসা মানে পুরোপুরি আসা নয় একবার চলে যাওয়া মানে যেতে থাকা চোখে রাখা থাকে অশ্রুর সঞ্চয় জেনো, কিছু কিছু নদীদেরও আছে শাখা কেন যে অতল... কেন যে শ্রাবণমাস... এত স্রোত, এত সন্দেহ, চোরাবালি ভালোবাসা মানে হৃদয়ের সন্ত্রাস অক্ষরে ব্যথা অনুবাদ করে গালিব খুন হয়ে যাওয়া ছায়াটার পাশে তবু আলগোছে পড়ে থাকে শরীরের ঋণ প্রেমিকের পায়ে মাথা নত কোরো,...
শোকের কাছ ঘেঁষে অতীত নদীরা থেমে যায় আঘাত ছোঁয়াচ পেলে ভেঙে যাবে মেঘেদের বাড়ি— সেও বুঝি জল হবে, ধুলো হবে তুচ্ছ শরীর; খাঁচারা বদলে যাবে প্রতি জন্ম-অধ্যায় শেষে। কারা যে বসেছে এসে নির্বাক সময়ের কাছে একা মানুষের অন্ধকারে ঘুম আনে সমস্ত মৃতস্বর, প্রহরের অপেক্ষা শুধু— এই বুঝি সাঙ্গ হবে খেলা কীভাবে নিভে যাবে তারাদের সাবেক উৎসব। স্রোতেরা...
আর কত আলোকবর্ষ ! সকাল দুপুর মধ্য রাত বিরামহীন চলতে হবে আমি জানিনা। নিজের কোন লক্ষ্য নেই আলস্য মাখা কয়েকটি ছোট বড় চোখ ধানকুটি মাড়ানো বলদের মতো আমায় ছুঁটিয়ে বেড়ায় কেন আমি জানিনা। কাঁধের জোয়ালের কথা মনে পড়লে আমার আরও খিদে পায় অথচ ঘুম পায়না, ঘুমের দুয়ারে অক্লান্ত আমি... দন্ডি কাটি কেন আমি জানিনা। শুধু আমি এটুকু জানি যে এসব জানার জন্যই আমি...
রাধার ছিল শতেক ঘোড়া, জিনপরানো একলাপথে হাঁটছে তবু, রাজকুমারি পথ পাথরে বেবাক তাকে ভুলিয়ে দিল তারও আছে চকমেলানো রাজার বাড়ি। কৃষ্ণকিশোর মাঠ চিনেছে ঘাট চেনেনি! যে ঘাট বেয়ে নামছে সিঁড়ি রূপসায়রে কে দিল তার বাঁশির বাতাস, চুম্বনে স্বাদ কেউ কি জানে? রঙ-বেরঙে কুৎসা ওড়ে আজকে যখন কৃষ্ণরাজের কলটি নড়ে, মিথ্যে তাকে 'ধর্ম' নামে উঠছে ডেকে! বাঁশির ফুঁয়ে দেশপ্রেমের ওড়ায়...
সুদীপ দে সরকার (Sudip De Sarkar) আত্মপ্রকাশ দাঁড়াও কথাগুলোকে মাজাঘসা করে নিই একটু তোমরা বোসো ফোনের সুইচ্‌টা অফ্‌ করাই থাক্‌, বড্ড বিরক্তিকর--- এটা তো জানোই যে আমার দেরি হয়ে গেছে বেশ খানিকটা ওই যে জানলা-দিয়ে-মুখ-বাড়ানো রোদ্দুর ওই যে অসময়ের ডাক, কোকিলের --- ওরা জানে একবার যখন আমি পা বাড়িয়েছি তখন আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না আমারে। ফুটো পকেট থেকে এতটা সময় পড়ে গেছে ঝরে...