এলিজাবেথ উইলিস

7078
19737


এলিজাবেথ উইলিস

কবি, কাব্য সমালোচক এলিজাবেথ উইলিস বর্তমানে আইওয়া রাইটার্স ওয়ার্কশপে প্রফেসর অব পোয়েট্রি হিসেবে কর্মরত। প্রাপ্ত বিবিধ পুরস্কারের মতো উল্লেখযোগ্য ন্যাশনাল পোয়েট্রি সিরিজ আর গুগেনহেইম ফেলোশিপ। কবি সুসান হো-এর কথায় এলিজাবেথ হলেন “an exceptional poet, one of the most outstanding of her generation.” ২০১৫ সালে প্রকাশিত তাঁর কাব্যসংকলন ‘Alive: New and Selected Poems’. ২০১৬ সালের পুলিৎজারের জন্য বিবেচিত হয়। Address কবিতার জন্য এলিজাবেথ ২০১২ সালে Pen New England/ L.L.Winship পুরস্কারে ভূষিত হন।

ভাষান্তর | অরিত্র সান্যাল 

শুক্রবার

একটা ঘেঁটে যাওয়া স্বপ্ন থেকে
তোমার কাছে আসা

এই হৃদয় যা তোমাকেই বেশি মানায়
ডুবে গেছে

চাবি খুঁজতে খুঁজতে আমি
এর ভাল দিকটা দেখি

কোনওদিন সিলিং-এ
আমি কোনও শরীর ভাসতে দেখিনি

পোস্ট অফিসের
বড় ঘরে

যা বর্ণনা করা যায় না
শব্দ হল তার উপসর্গ

এক প্রতিশ্রুতি, একটা প্রাঙ্গণ
দরজার মতো হাট খোলা

সে কারণে আমি কোত্থাও করুণা পাইনি
করুণাও আমাকে

এটা সর্বদাই ব্যক্তিগত
হাঁটুর বিকলতার মতো

একটা চিল চিৎকারের –না–
রাস্তায় ভাঁড়ামি করে বেড়াচ্ছে

এই গ্রহে তোমার পায়ের ছাপ
এঁটে দিয়েছে অন্তরীক্ষ

প্রজাতি একটা ধারণা

ছাতা ফেলে এসে
আমি সবকিছু পিছে ফেলে এসেছি

ওই কুকুরটা, আমার
ময়লা আমির প্রতীক

এই সব প্রতিফলন
যোগ করে ছায়া

কালি পৃষ্ঠাকে খেয়ে নেয়:
এটা অরণ্যের বিরুদ্ধে রসায়নের ব্যাপার

কোন ট্রেনে চড়েছ
এই সব চিন্তা ভাবনা নিয়ে?

কোন তেতো জমির
কথা তোমার থেকে শুনি?

ধাপ ছাড়া এর ছক
হঠাৎ একটা করিডোর

লেখো এটা
তুমি এর শেষে পৌঁছে গিয়েছ

কাব্য গ্রন্থ: Address (2011)

বাদ দেওয়া কবিতাগুলি

উইলো গাছের মতো হাত পা কাটা
আমি ডানা-ভাবে পুড়ে যাচ্ছি

আমাদের মধ্যরাত বিশেষকে
আনা হল খাদের দিকে

অন্য ঋতুকে
লুণ্ঠন করা নিয়ে মস্করা করতে দিও না

আমি প্রতিদিন
তীরে উঠি সাঁতরে

ছিরিছাঁদহীন আরশিতে
উজ্জ্বল মস গায়ে

আতঙ্কের মধ্যে
নিশ্চিত আমরা বেঁচে যাই

গতকালের বাসি কেকের
ধ্বসে পড়ার পরও

ভুল করে বাদ দেওয়া কবিতাগুলি

যদি আমায় ডাকা হতো
ওই ফুলটার খসড়া বানাতে

একটা খুলে যাওয়া বন্য জিনিস
আমার তালুর ওপর জুড়ে যেত

সরকারি বন্দুকের হিসেবে
নেকড়ের সংখ্যা কমে আসছে

যদি লুসি
আলস্যের দুর্গে রাজত্ব করে

আমার ভাল লাগে
আরেকটু ভাগ্যবান গ্রহের স্বপ্ন দেখতে

কাব্য গ্রন্থ: Meteoric Flowers (2006)

এক কন্যা

পাতার বালিশের ওপর তোমার মুখ যখন খুঁজে পাই
তুমি তা মুছে দিয়েছ। খুব ভারি পাখির বাসা
একমাত্র সব ওলট পালট হলেই স্বর্গে গিয়ে ঠেকে।

এই নিয়মে হাঁটু বাঁধা থাকে বিদায়ে।

আমি যুবককে বলি।

যদি দেখাটাই সবকিছু বানায়, আর আমি হারাই তোমায়
পণের পরিবর্তে আসে কোন দেবদূত
না দূরত্ব এই পাতার ক্রিয়ায়?

দ্য হিউম্যান অ্যাবস্ট্রাক্ট

(অংশ)
এই ভালবাসা এক ভদ্রমানুষের ভিতর কোথাও হরিণের চিৎকার

আপাত ছবিটা নিয়ে
কত ছোট্ট এই ভাবনা

ভুল ও বিস্ময় নিয়ে একটা ছোট্ট কক্ষ

(মিঠে তার) আমি আগে থেকেই জানি

একটা অন্য বইয়ে একটা ক্ষুদ্রতর জয়

(অংশ)
আবেগ আমার প্রাত্যহিক ক্রিয়া।

প্রতি বীজের লিঙ্গভেদ আছে।

উর্বর জমিতে ভালবাসা এক ধরণের বিতৃষ্ণা।

পাথুরে জমিতে ছড়ানো সর্ষেদানা উদ্ধার করে আনা হয়েছে।

সব ঠিক ঠাক।

(অংশ)
যা আমি জানি তা ভাগ হয়ে আছে
অন্যের আবহাওয়ায়
এক প্রকারের বিদ্যুৎ
প্রথম তুষারপাতে একটা আগুন
মালিকের দৃষ্টিকোণ থেকে একটা খনি
খনি একটা শ্রমিক হিসেবে

কাব্যগ্রন্থ: The Human Abstract (1995)

7078 COMMENTS

  1. I think this is one of the most vital info for me. And i am glad reading your article. But wanna remark on few general things, The web site style is ideal, the articles is really excellent : D. Good job, cheers|

  2. Today, I went to the beach front with my children. I found a sea shell and gave it to my 4 year old daughter and said “You can hear the ocean if you put this to your ear.” She put the shell to her ear and screamed. There was a hermit crab inside and it pinched her ear. She never wants to go back! LoL I know this is completely off topic but I had to tell someone!|

  3. Thanks a lot for sharing this with all people you actually realize
    what you’re talking about! Bookmarked. Kindly also
    talk over with my site =). We can have a hyperlink trade contract among us