গুচ্ছ কবিতা: বেবী সাউ

0
373

হেমন্ত

এসব গোধূলি আলো
স্বজন হারানো লোভে একা

পথেই পায়ের ছাপ তারপাশে লিখে রাখা ঘাতক আলোয়
আঁকশি ফেরানো চোখে
ফেরা যায়! বলো!

দেহ নেই! জন্ম নেই
মাতৃহননের সুরে

কাকেই বা প্রিয় ডাকি, কাকে যে দেবতা !

এসব গোধূলি আলো একা…

 

সন্ধ্যা

কাকে বল ছায়া?

আলোর দরজা পেতে, রোজ সেও হেঁটে গেছে জারুল বাগানে

মৃত গাছেদের চোখে ঘৃণা জন্ম নিতে দেখে–
চুপচাপ পুঁতে দেয় ক্ষুধার ছোবল

সহজ প্রাকৃত লয়ে, সুর বাঁধে

ছায়া নামে
আলোর মতন

রোজ সেও হেঁটে গেছে
জারুল বাগানে…

 

দয়িতা

এই নাও সন্ধ্যাদীপ…

ভিক্ষালব্ধ ক্ষেত থেকে তুলে আনা স্পর্শের সীমানা

আরও চোরাগলি জুড়ে
নির্জন ঈশ্বর একা ধুনি জ্বেলে দেখে কিছু মশকের জ্বর

আরও হেঁটে যাওয়া এই হাঁটাপথ
গম্ভীর ভৈরবে

সমূহ মৃত্যুর বুক থেকে তুলে আনে তার
জীবন সূচক

দুহাত আড়াল করে প্রদীপ জ্বালাও
রাত জেগে

এই নাও সন্ধ্যাদীপ…
জ্বলো..

 

খিদে

দহন আপাত জেনে…

নিজেই পতঙ্গভূক চকমকি জ্বেলে বসে আছি।

হিমেল রাত্রির চোখে বাঘ জ্বলে ওঠে

ব্যর্থ প্রণয়ের লোভ দিয়ে কাছে ডাকে
দেবগৃহ

গভীর সুড়ঙ্গ পথে বন্দরের জাহাজ ভাসায়

শ্যাওড়া জঙ্গলে আছে বনওষধির ভয় ভেবে
আতাপাতা গুঁজে দাও কঠোর নিয়মে

হিমেল রাত্রির চোখে বাঘ জ্বলে ওঠে

 

কৃষ্ণ

এসব ঝড়ের কথা, সামান্য রোদের টানে
কোথায় হারায়…
তারপর, ফুল খোঁজে। ফল খোঁজে। খুঁজে রাখে বিশল্যকরণী…

জ্বরের শরীরে ঘোরে। জল চায় মূঢ় অভিযোগ
তরুণ পাখিটি জানে ডানার সঙ্কেত বড় অভিমানপ্রিয়

সরীসৃপ নদী যেন; দু’কুল সবুজ
এখানে ঝড়ের কথা সতর্কসংকেত

এখানে ঝড়ের কথা
অভিমানী খুব