ঘোড়া: কুমারেশ তেওয়ারী

0
233

সুনীল দাসের ঘোড়াটির গায়ে সেঁটে দিই
জাদু বাস্তবতা। ফোলানো কেশর নিয়ে
তৈলচিত্র ছেড়ে নেমে আসে ঘোড়া। টগবগে
যেন এখনই উড়ালে যাবে। চার পায়ে ক্ষুরগুলি
কী বলিষ্ঠ লাগে! দাঁড়ানোর ভঙ্গিটিও মহেঞ্জোদারিক।
প্রত্ন ঘুম ভেঙ্গে উঠে আসা ঘোড়া
অনন্ত ভ্রমনে যাবে বলে মাটি বক্ষে ক্ষুর আঁচড়ায়।

বলে, ডেকেছো যখন তবে কাজ দাও। গতিময়
ক্ষুরের আঘাতে ধুলোঝড় জন্ম নিলে হাততালি
পাবো খুব? ঘোটকী আদর থেকে ঝড়ে পড়বে
কামিনীসোহাগ?

ঘোড়াকে শান্ত করি। দূরের শস্যক্ষেত দেখিয়ে বলি,
ওইখানে বৃদ্ধ কৃষক ততোবৃদ্ধ বলদ তার, মাটি চষে।
শ্রমক্লান্ত বলদটি, হাঁপায় ভীষন।
তাকে বিশ্রামে যেতে বলে সবল কাঁধ দাও চাষির জোয়ালে।

সন্ধ্যেবেলা ফিরে আসে ঘোড়া। মুখে ফেনা, ঝুলে পড়া
কাঁধে। জোয়ালের দাগ দেখিয়ে বলে জাদু কর, জাদু।
গতি গেছে ক্ষমতাও, শরীরে যে অতলান্ত জ্বর
ফিরে যাব আরবার তৈলচিত্রের ভেতর।