নব্য দ্যূতক্রীড়া: সঞ্চারী গোস্বামী

0
52

দ্যূতসভাস্থল মধ্যে পৌঁছলেন অনিন্দিতরুচি।

বয়োবৃদ্ধ, জ্ঞানবৃদ্ধ প্রত্যেকের চোখে চোখ রেখে
নিক্ষেপিত হল তার প্রশ্নবাণ–
যিনি নিজে পরাজিত, তার অধিকার ছিল অন্যকে পণ রাখা?
এর উত্তর কী, সে তো সকলের জ্ঞাত;
ফলাফল সুদূরপ্রসারী; সে কথা বুঝতে এই সভাস্থলে জ্ঞানী-অজ্ঞানী–
অসুবিধা ছিল না কারোরই।
তবু সেই নিয়তিতে পাঞ্জাছাপ দিলেন সকলে।

আরও এক দ্যূতক্রীড়া শুরু হয়ে গেছে।
নীতি-নির্ধারক যারা, আত্মবিক্রয় করে
পণ রেখে চলেছেন বন-মাঠ, নদী ও পাহাড়–
পণ রেখে চলেছেন মানুষের জীবন ও জীবিকা।
মহাকাব্যের যুগে মীমাংসা হয়নি, তাই রুদ্ধবাক অভিজ্ঞ-জ্ঞানীরা।
কে না জানে মৌনেই প্রচ্ছন্ন সম্মতি!

“দ্বিধা হ‌ও, দ্বিধা হ‌ও” — এ ধরিত্রী বলবেন কাকে?