Home বাংলা কবিতা

বাংলা কবিতা

আবির্ভাব ভট্টাচার্য জন্ম ১৯৯৩, বর্ধমান। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে সেখানেই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। কবিতার বই রয়েছে দু'টি। টুকরো টুকরো স্যানিটোরিয়াম ১ রক্তপাত হয় এখানে বিকেলবেলায় পশ্চিম আকাশে দেয়ালের গায়ে গায়ে বিয়োগের দাগ আত্মজৈবনিক ক্ষয় জেগে থাকে। ২ আমার পাশের বিছানায় যে ছেলেটি আছে প্রায় দেখি মধ্যরাতে জেগে বসে থাকে! আমাকে সে গোপনে বলেছে তার মন, ইতিহাসে নয় শিক্ষিকার ভ্রমর কাজলে!... ৩ ইস্কুল বিকেল মনে...
তুষার কবিরজন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর করার পর তিনি এম.বি.এ. করেছেন মার্কেটিং বিভাগ থেকে। এ যাবত তাঁর ১২টি কবিতার বই এবং একটি কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধের বই প্রকাশিত হয়েছে।বেহালাহাওয়ায় উড়ছে শুধুই হাহাকারকোভিড ছড়ানো এ সন্ধ্যায়—গোধূলির লালাভ আলোতে গান গায়এক...
স্পন্দন চট্টোপাধ্যায়উত্তরপাড়া রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাশ করে এবং পরে ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, আগরতলা থেকে স্নাতকোত্তর পাঠক্রম সম্পূর্ণ করেন ২০১৭ সালে। প্রকাশিত বই: ‘রিটার্ন টিকিট নেই’, ‘ক্লিভেজ জুড়ে দেওয়াল লিখন হোক’। বর্তমানে মুম্বইয়ে Cine Riser Digital Media Pvt. Ltd.–এ Content Writer, Editor & Social Media Executive হিসেবে কর্মরত।ছায়াসবারই...
তোমাকে লিখিনি আমি প্রেমের কবিতা একদিনও ওয়েব সিরিজের মতো ভেসে আসে ছবিময় শুধু সে ছবির ক্যানভাসে ভেসে আসে মুখ মণ্ডলী অর্ধেক কালো তার,অর্ধেক মুখোশেই ঢাকা। প্রেমের কবিতা কেন লিখিনা প্রশ্ন করেছিলে লিখেছি অনেক উড়ো চিঠি রোজ যাতায়াতপথে সে সব চিঠিতে নেই স্বাক্ষর মুঠোছাপ কারও যে হাত ধরতে গেছি সেই হাত ছেড়ে চলে গেছে । মাটি ভেদ করে...
জাহিদ সোহাগমানুষএ-ও এক বিশ্বাস, যারা আগুনের অবশেষ দেখে ছাই; আমি এর উল্টো দেখি। যেমন, মানুষ স্থির, গাছ ভ্রমণশীল : রক্তপাত ও আদর্শ তাদের দরকার।মানুষের কিছু নেই বুক ফাটিয়ে সোনালু জন্ম দেয়া ছাড়া, অন্য সময়ে লাল। যেমন প্রেমের চেয়ে পরিখার কুমির সহনীয়।  সিরিয়া সারাদিন শূন্যে তাকিয়েছিলাম। মনে হলো রুটিবৃষ্টি হবে শিগগিরই। রাত মানে...
দেশভাগ সম্পত্তিটুকু ভাগ হল একদিকে হাঁড়িপাতিল, রঙিন মাছের আঁশটে গড়িয়ে পড়া জল নুনের ভাড় হেঁসেলের ধোঁয়া, অন্যদিকে স্মৃতিজ্বলা মুখ ও হৃদয়ের বিভূতি শ্যামবর্ণ ধূসর চৌকাঠ আর নরোম জ্যোৎস্না। কিছু আত্মকেন্দ্রিক মানুষ অনতিক্রম্য মাতাল হাওয়া বন্ধক রাখে চণ্ডাল বিচারকের দুই হাতে। এইভাবে চুরমার ভস্মছাই হয় পুতুল সংসার, নির্মাণের হাতিয়ার ভেঙে পড়ে আর্তচিৎকারে; সম্পত্তিটুকু তখনো দূরে দাঁড়িয়ে গোপন মুদ্রায় জাগে এক অনভিপ্রেত সকাল! কান্নার দাগ...
শাশ্বতী সান্যালদাঁড়কাকনা, আমার কোনো পোষা দাঁড়কাক নেইতাদের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিলো সাতাশ বছর আগেযে মানুষটা আমাকে সাদা দাঁড়কাক দেখানোর গল্প বলেছিলোখুব মনে করে দেখলাম, তার নাম নাদের আলি নয়অর্থাৎ বলা যায়, আমি এবং দাঁড়কাকঅথবা, দাঁড়কাক এবং আমিদীর্ঘদিন পরস্পরের প্রতি সৌজন্যমূলক দূরত্ব বজায় রেখেছি...এখন সমস্যা হল, ইদানিং আমি একটা বহুতলে...
সে যেন খুব সীমান্তবর্তী গাছ শিকড় এপারে ডুবে খানিক ওপারে ফলের বসত ঘিরে যত আলোচনা মাঠের নোনতা মাখে আচমন সারে মালায় প্রশ্ন আসে এর কিছু পরে জ্বালানির ঘ্রাণটুকু পেলে আজ তাকে ফাঁকা জমি চুষে ফেলা বেহিসেবি রোদ ...
আপেল, ছুরি, জলের পাত্র, না-খোলা খবরের কাগজ আরো কিছু অনাবশ্যক দৃশ্য আর আছো তুমি-নেই ফলের খোসা ছাড়ানোর দৃশ্যের মত— খুব সাবধানে, সন্তর্পণে চেঁছে নেওয়া ফলের অযথা মাংস যেন না ফলের খোসার সঙ্গে যায়… যে-তোমায় সমীচিন করে তুলেছে সে এই ছুরিবিদ্ধ ফলের গায়ে সকালের গমগমে রোদ  
সাউথ সিটি মল 'তোমার হৃৎপিণ্ড যেন বিনামূল্যে ওয়াই ফাই জোন ফ্রি সিগন্যাল যাবে তাই, সারাক্ষণ ফোনে রাখি চোখ' এই বলে দুজনেই অক্টোপাস খেতে ঢুকে গেল লিরিল যুবতী আর তার সঙ্গে ডেনিম যুবক মনুমেন্ট কলকাতা শুয়ে থাকা, তীব্র এক রাক্ষসের নাম মনুমেন্ট তার উথ্বিত শিশ্ন, ত্বক ভেদ করে ভরা পূর্ণিমার রাতে মাতালেরা যখন ঘুমিয়ে, শিশ্নমুখ চুঁইয়ে রক্ত মাখা গাঢ় বীর্য ঝরে পড়ে ফ্রি স্কুল স্ট্রিট মিসেস ব্রিগান্জা...
“in the silence behind what can be heard lies the answers we have been saerching for so long’’ Andreas fransson একটা পোকার ভোঁ ভোঁ আওয়াজ অনেকক্ষণ মাথার মধ্যে বাজছিল। খুব সহজেই ওকে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যেতে পারতাম আমি।হয়ত,সেটাই ও চেয়েছিল। গরমের দিন সন্ধেবেলায় আশ্চর্য হাওয়াটার জন্য অথবা অন্য কোনও কারণে,জানি...
কুমারেশ তেওয়ারী জন্ম আসানসোলের কন্যাপুরে। পড়াশোনা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালিখি করেন। প্রকাশিত কবিতার বই: ‘জুড়ন পুকুর’, ‘ব্যালেরিনা ও নকশি কাঁথায় নষ্ট গন্ধ’, ‘শব্দ স্নানে বেজেছে এস্রাজ’।আট পংক্তির কবিতাযাপনপ্রকৃত সংলাপে থাকে নাটকের প্রানবন্ত রূপথিয়েটারে মায়া ওড়ে ছায়া ঢাকে কুয়াশার ঋণরূপের অরূপে থাকা যাপনের নেশাটি রঙিনঅন্তরালে পুড়ে যায় সুগন্ধের পরিযায়ী...
তানিয়া চক্রবর্তীজন্ম  ২২শে নভেম্বর, ১৯৯০প্রথম কবিতা প্রকাশ ২০১১ সালে। এরপর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখালিখি। প্রকাশিত কবিতার বই: কিছু একটার জন্য, পুরুষের বাড়ি মেসোপটেমিয়া, রাহুকেন্দ্রিক ঋতুকাল, লম্পট, আমিষ বিবাহ, জুনিপোকার আলোয় বাঁধা ঘর, পুতুল মানুষ। গদ্যের বই: কাঠপুত্‌লির বৈতরণি। কবিতার জন্য পেয়েছেন কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত পুরস্কার, চাকা সাহিত্য সম্মান।আমিখাটের দুই...
জীবনের গান   প্রত্যাখ্যানের মধ্যে সমস্ত আশ্চর্য রাস্তাগুলো লুকিয়ে আছে পৃথিবীর বুকে জর্জ বিশ্বাসের গানকে জড়িয়ে ধরে দীর্ঘ করছে আয়ু রেখা ছেঁড়াতার বেঁধে ফেলতেও চান কেউ কেউ কিন্তু, ওই যে মন আর মস্তিষ্কের 'ম' আলাদা তাই, যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসো তাকে বলো না কখনও, 'ভালোবাসি!'     অভিসম্পাত শব্দের সঙ্গে বহুকাল সম্পর্ক না থাকলে দূরত্ব বাড়ে ভেতর ভেতর ভয় তাড়া করে যদি কোনও...
প্রকৃত শোকের কাছে সবকিছু তুচ্ছ হয়ে যায় রোজকার জীবনের শীত, গ্রীষ্ম, মামুলি ঋতুরা প্রকৃত শোকের আছে নিজস্ব উচ্চতা, সম্মোহন ধ্যানের স্তব্ধতা আর আত্মার গভীর উচ্চারণ প্রকৃত শোকের কাছে মাথা নত হয় অনায়াসে ছড়ানো- ছিটানো যত লোভ, সব অর্থহীন লাগে প্রকৃত শোকের আছে বেদনার গোপন আহ্লাদ সুরের নিবিড় স্পর্শ, প্রার্থনার মতো মন্ত্রধ্বনি প্রকৃত শোকের কাছে যেতে হয় খুব...
পল্লবী মুখোপাধ্যায়জন্ম কল্যাণীতে। বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগ্রামে স্থায়ী ঠিকানা। বাংলায় স্নাতক হওয়ার পর বাংলা ও শিক্ষা বিজ্ঞান উভয় বিষয়ে স্নাতকোত্তর। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি খুব ছোটবেলা থেকেই  তাঁর লেখালিখির শুরু।  সেইসব দারুণ শৈশব আর কৈশোরের দিনগুলোতে ছোট বোনের সহচর্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  পরবর্তী কালে কলেজ জীবনে আসেন আরো একজন...
তোমাকে দুঃখবোধে ডুবিয়ে রাখতে চাইনি। দোষ আমার! একের পর এক যে তীর আমি মেরেছি, তা এমন নির্মম হয়ে ফিরবে ভাবিনি। তুমি বুঝবে না, তোমাকে ছাড়া রাত-দিন কেমন দুর্বিষহ কঠিন ধাঁধার মতো হয়ে উঠছে। পোড়ো বাড়ির গুমোট অন্ধকার যেমন গলা টিপে ধরে পিছন থেকে। আমি হিসেব মেলাতে পারছি না। চাঁদ...
দেবায়ন চৌধুরীজন্ম: ১৯৮৭কোচবিহারে কেটেছে শৈশব। বর্তমানে কলকাতাবাসী। পেশা- অধ্যাপনা। বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র ও লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: যা কিছু আজ ব্যক্তিগত, সম্পাদিত গ্রন্থ: দুর্গামঙ্গল, কোচবিহার: ইতিহাস ও সাহিত্য, কোচবিহার দর্পণ: নির্বাচিত প্রবন্ধ ১খোয়াইমায়ের উদ্বেগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আমার কান্নারাঝরে পড়বার কোনও উপলক্ষ্য থাকে না। তবু…শ্রাবণের...
হেমন্ত এসব গোধূলি আলো স্বজন হারানো লোভে একা পথেই পায়ের ছাপ তারপাশে লিখে রাখা ঘাতক আলোয় আঁকশি ফেরানো চোখে ফেরা যায়! বলো! দেহ নেই! জন্ম নেই মাতৃহননের সুরে কাকেই বা প্রিয় ডাকি, কাকে যে দেবতা ! এসব গোধূলি আলো একা...   সন্ধ্যা কাকে বল ছায়া? আলোর দরজা পেতে, রোজ সেও হেঁটে গেছে জারুল বাগানে মৃত গাছেদের চোখে ঘৃণা জন্ম নিতে দেখে-- চুপচাপ পুঁতে দেয়...
অভিমান তোমাকে যত না ঠেলে দেয় দূরে তার চেয়ে দূরে নিয়ে যায় রোমন্থন। তার চেয়ে আরও যেন বিরাট-- দূরত্বের যবনিকা পড়ে আকরিক খুঁজতে খুঁজতে খনি উজাড় ক'রে উপড়ে আনতে মানিকমঞ্জরী! তোমাকে যে সাকি বলে চেনে সে তুমি পেয়ালার সখ্য নিখুঁত, অম্লমধুর! যে তোমাকে চাঁদ তারায় গুনে দেখেছে সে তোমার আকাশী জলে পা ধুয়ে দেয়... বুঝতে বুঝতে শত ঋতু,...