Home বাংলা কবিতা

বাংলা কবিতা

সৌম্যজিৎ আচার্যকবি,গল্পকার। অনুবাদও করেন।লেখা প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার বিভিন্ন সংবাদপত্র ও পত্র পত্রিকায়।তাঁর কবিতা অনুবাদ হয়েছে ইংরেজি ভাষায়।সম্প্রচারিত হয়েছে বলিভিয়ার একাধিক এফ এম বেতার অনুষ্ঠানে। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আট।এক ফেরিওয়ালা এসেছিলএক ফেরিওয়ালা এসেছিলগ্রামে,শহরে প্রতিটা রাস্তায়হেঁকেছিল জোরে জোরেটোকা দিয়েছিল দরজায়বাতিল লণ্ঠন নেবে বলেআজ দেখো,সেসব...
সুবীর সরকার জন্ম ১৯৭০ সালে। বেড়ে ওঠা উত্তর জনপদের কোচবিহার শহরে। নয়ের দশকে কবিতা লিখতে এসেছেন। ভিন্নধর্মী গদ্যও নিয়মিত লিখে থাকেন। বেশ কয়েকটি কবিতা ও গদ্যের বই রয়েছে। লেখা পড়া আর হাটগঞ্জের ভিতর ঘুরে বেড়ানোর যাপনেই মেতে থাকেন। প্রকাশিত হয়েছে একাধিক কবিতার বই।বাহান্নঘর কলোনি থেকেবাহান্নঘর কলোনি থেকে আমি আর্তনাদ তুলেএনেছিজোড়া...
বিশ্বজিৎশব্দের বিপরীতে১চুপ থাকাএক অসম্ভব শিল্প।জানি,কেউ কারোর ধার ধারে নাকেউ কারোর ঘর চালায় না।তবুও টিকিটএকই স্টেশনের দিকে…২অসুখ-বিসুখেতুমি থাকাটা জরুরি।তুমি নামটাই সব…সারাদিন পারদ ওঠে-নামেতুমিও ওঠা,নামার ভেতরপৃথিবীজুড়ে একটা কার্ফু চলছে৩জন্ম নিয়ে প্রশ্ন বাড়েশিক্ষার কোনও শেষ নেই।শূন্য বাড়তে বাড়তেসংখ্যারাও মুখোমুখি ভাস্কর্যে…৪মৈথুন শেষেসব অভিমান কেটে যায়।দিন বদলে আলোর কাছাকাছিছুঁয়ে যাই…একে অপরের মুহুর্ত
শিবু মণ্ডল| জন্ম ১৯৮১ চাকরিসূত্রে হরিদ্বারবাসী। কবিতার বই: ‘শীতঘুম ও আনুষঙ্গিক জ্বর, দার্জিলিঙের রাত্রিগুলি। সম্পাদনা করেন হেমন্তলোক পত্রিকা। ভোরের ইচ্ছে ছায়া নদী ও মায়া হরিণের একান্ত সাক্ষাতের মধ্যে ঢুকে গেছে এক নিস্তব্ধ চরাচর। চিনবার মতো আশেপাশে কোনও স্মারক চিহ্ন নেই, মিথ্যা খোয়ারের নিচে চাপা পড়া তৃণ থেকে শিষ জাগছে না আর। তবুও...
আবির্ভাব ভট্টাচার্য জন্ম ১৯৯৩, বর্ধমান। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে সেখানেই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। কবিতার বই রয়েছে দু'টি। টুকরো টুকরো স্যানিটোরিয়াম ১ রক্তপাত হয় এখানে বিকেলবেলায় পশ্চিম আকাশে দেয়ালের গায়ে গায়ে বিয়োগের দাগ আত্মজৈবনিক ক্ষয় জেগে থাকে। ২ আমার পাশের বিছানায় যে ছেলেটি আছে প্রায় দেখি মধ্যরাতে জেগে বসে থাকে! আমাকে সে গোপনে বলেছে তার মন, ইতিহাসে নয় শিক্ষিকার ভ্রমর কাজলে!... ৩ ইস্কুল বিকেল মনে...
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়বিশ্বাসবিশ্বাস – হাঁটে, চলে, গাছে চড়ে চাঁদ খায়।তারপর বিড়ালের মতো ঘাস খোঁজে।ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হলে নদীর জলেবাতাসের আবদার শোনে চোখ বুজে।বিশ্বাস - মৃত আত্মার মতো দেহ খায়।চুপিসারে বিষ মেশায় চাঁদে,মৌচাক ভাঙার ধোঁয়া নিয়ে তাড়া করে,বিশ্বাস, কাঁচা মাংস, নাৎসি-ইহুদি দিয়ে রাঁধে।কঙ্কালের চোখে জল দেখবে বলেকাঁদানে গ্যাসের মতো, আজন্ম অপেক্ষা...
কামাল চৌধুরী | জন্ম ১৯৫৭ বাংলা ভাষার অগ্রগণ্য কবি। তাঁর কয়েকটি বইয়ের নাম এই পথ এই কোলাহল, এই মেঘ বিদ্যুতে ভরা, রোদ বৃষ্টি অন্ত্যমিল, পান্থশালার ঘোড়া ইত্যাদি। ২০১২ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার। বসবাস ঢাকায়। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১৭ সালে। একটি দাদাবাদী কবিতা ভেতরে ভেতরে দাদা, তুমি দাদা ভেতরে ভেতরে পরাবাস্তব ইটা...
অরুণাভ রাহারায়জন্ম  ১৪ই আগস্ট, ১৯৯১জন্ম  উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার শহরে। পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসা। ২০১১ সালে কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকার সময় ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রথম কবিতা প্রকাশ। পেয়েছেন বর্ণালী স্মৃতি পুরস্কার, উড়ালপুল পুরস্কার এবং সৌমেন বসু পুরস্কার। কবিতার বই তিনটি— ‘সবুজ পাতার মেঘ’(২০১০) ও ‘দিনান্তের ভাষা’(২০১৫), খামখেয়ালি পাশবালিশ (২০১৮)।অসমাপ্ত অন্দরমহলশরতের ঝলমলে...
সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায়বসবাস বীরভূম জেলার আমোদপুরে। পড়াশোনা ইংরেজি সাহিত্যে নিয়ে। কবিতার বই: পোস্টকার্ড, ছায়াছবির গান কৃষিকথার আসর ইত্যাদি। সম্পাদিত পত্রিকা: ৬ ফাল্গুনকর্মীমানুষ তৈরিই হয় এক ধরনের শ্রম থেকেআরেক ধরনে সেও খেটে খুঁটে খায় —কত যে উন্নত সব খোঁজার তাগিদেজীবনকে জড়িয়েছে কত রকমের সব ভাবে —ভবের আসনে যত রকমের বাজারী হাওয়াইআমাদের...
সবর্না চট্টোপাধ্যায়প্রকাশিত বই ‘চারদেওয়ালি চুপকথারা’।বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, দৈনিক এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে লেখালিখি।প্রবন্ধ লেখেন বিভিন্ন বিষয়ে।কিশোর সাহিত্যে আগ্রহ রয়েছে।দেশলাই১.পলকা টোকায় ভেঙে গেল জলের পাঁচিল…দুটো পা বালির ভেতর।পাড় ভাঙছে হুড়মুড় করে...যে চোখ স্তব্ধতায়, অস্থির…আবার একবার সতীদাহ। গভীর খাদে একসঙ্গে ঝাঁপ…২.কত পথ হেঁটেছে একা সময়। কেঁদেছে আড়াল!ক্ষয়ে গেছে হাড়। মৃত শব্দের যন্ত্রণায় কাঁথা...
সাম্যব্রত জোয়ারদারপেশায় সাংবাদিক। লেখালিখি শুরু নয়ের দশকে। বিজল্প পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। প্রথম বই ‘পাখিদ্বীপ জাদুওলা বন্ধুপদাবলী’। তিন বন্ধু একসঙ্গে। ছবি আঁকতে, ছবি তুলতে ভালোবসেন। প্রিয় বই: গীতবিতান।নির্বাচিত অংশের প্রতিধর্ষণ ও খুনের লেখা, মুখিয়ার পরগনা শালগাছ পাতা কুড়ানিরা, চুপচাপ চান্দ্রমাসে ঝরে গেছে। ক্যালেন্ডারে গোল চিহ্ন ঋতুস্রাব এলোমেলো শহরের পথ, খাদি...
সুবীর বোসবহু পত্রিকায় তাঁর কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত বই: আঙুলের সংলাপ, ভাঙা কলমের আন্তরিকে।ছায়া যুদ্ধমধ্যবিত্ত শেষ বিকেলে শুনেছি সংলাপআমি তো বেশ ভালোই আছি আমার গূঢ় পাপঅনুদ্ধারে দিব্যি আছি তোমার কথা বলোআমি এখন ছায়া যুদ্ধে ভীষণ টলোমলোএকাই হাঁটি অমনস্ক পাহাড় নদী ভুলেকারণ জানি আমার পাপে দোষ লেগেছে ফুলেএবার...
মানিক সাহাজ্বরগালে স্পর্শ পাই। ডুবে যেতে থাকি জ্বরে। আমার কিশোর বয়স। পুটিদি ভরা নদী হয়ে পাশে বসে থাকে। ওর বাঁকগুলি দেখে মনে হয় বাঁশঝাড়ের আড়াল। মনে হয় নির্জন এক কোনে লুকিয়ে রাখা নৌকা। তোমার ঐ নৌকায় আমাকে চড়তে দেবে, কোনদিন বলতে পারিনি। অথচ আমার মাঝি হওয়ার ইচ্ছে ছিল ষোলোআনা।একদিন...
অহনা ঘোষবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা। প্রাণীবিদ্যায় স্নাতক এবং স্নায়ুবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তরের হবার পর এখন গবেষণারত। প্রকাশিত হয়েছে বিতার বই এবং একটি ইংরেজি উপন্যাস।মৃত্যুঞ্জয়ীতোমার জন্য কষ্টে আছি দেশ,পাহাড় ভাঙা ধোঁয়া কুণ্ডলী ওঠে,ডায়নামাইটে বহমানতার রেশ,কাশ্মীর বাঁচে রাইফেলে, আখরোটে।তোমার জন্য কষ্টে আছি দেশ,সাদা পায়রার বিক্ষত দেহ লাল,উপদ্বীপ জুড়ে অ-সুখের সন্দেশ,ক্ষুদার্ত পেট, মহার্ঘ্য ভাত-ডাল।তোমার জন্য...
ওবায়েদ আকাশ গত শতকের নব্বইয়ের দশকের কবি। জন্ম ১৯৭৩ সালে, বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার সুলতানপুর গ্রামে। বসবাস ঢাকায়। একাডেমিক পড়াশোনা : বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। পেশা : গণমাধ্যমে চাকরি। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা: কবিতা, অনুবাদ, গল্প, প্রবন্ধ, সম্পাদনা মিলিয়ে ৪০টি। এর মধ্যে মৌলিক কাব্যগ্রন্থ ২০টি। সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিন শালুক (১৯৯৯-২০২০)। রোগাপটকা কুসুম খ্যাতির চূড়ান্ত...
জাহিদ সোহাগমানুষএ-ও এক বিশ্বাস, যারা আগুনের অবশেষ দেখে ছাই; আমি এর উল্টো দেখি। যেমন, মানুষ স্থির, গাছ ভ্রমণশীল : রক্তপাত ও আদর্শ তাদের দরকার।মানুষের কিছু নেই বুক ফাটিয়ে সোনালু জন্ম দেয়া ছাড়া, অন্য সময়ে লাল। যেমন প্রেমের চেয়ে পরিখার কুমির সহনীয়।  সিরিয়া সারাদিন শূন্যে তাকিয়েছিলাম। মনে হলো রুটিবৃষ্টি হবে শিগগিরই। রাত মানে...
রিয়া চক্রবর্তীজন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায়। দুটি কবিতার বই প্রকাশ পেয়েছে ‘নিয়ন আলোর দৃশ্যরা’ এবং ‘রাই পদাবলী’। দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন।আলোর গল্পআমার পাঁজর থেকে একটা একটা করে খুলে নিচ্ছ হাড়,আর বাঁধ ভেঙে ছড়িয়ে পড়ছে আমার বুক ভরা স্বপ্নেরা...দু হাতের আঙুল থেঁতলে দিচ্ছো,যাতে না কোনও দিন স্ফুলিঙ্গরা দাবানল...
অনিকেশ দাশগুপ্ত | জন্ম ১৯৮৭ বসবাস মালদায়। পেশায় স্কুল শিক্ষক। কয়েক বছর ধরে নানা পত্রপত্রিকায় লিখে চলেছেন। এখনও বই প্রকাশিত হয়নি। বিদায় তুমি দৌড়ে যেতে পার এমনভাবে যেন আড়াল থেকে কেউ ডোরাকাটা আলো ফেলছে... শুভরাত্রি ! বাতাসমুখর এই রাতে তীক্ষ্ণ বাঁক নিয়ে প্রত্যেকেই অদৃশ্য ভূ-ভারতে একটা পাঁচ ব্যাটারির টর্চ জ্বালো দেখো দস্তানা দুলিয়ে বিদায় চাইছে আরও হাত ... শিমূল...
দেশভাগ সম্পত্তিটুকু ভাগ হল একদিকে হাঁড়িপাতিল, রঙিন মাছের আঁশটে গড়িয়ে পড়া জল নুনের ভাড় হেঁসেলের ধোঁয়া, অন্যদিকে স্মৃতিজ্বলা মুখ ও হৃদয়ের বিভূতি শ্যামবর্ণ ধূসর চৌকাঠ আর নরোম জ্যোৎস্না। কিছু আত্মকেন্দ্রিক মানুষ অনতিক্রম্য মাতাল হাওয়া বন্ধক রাখে চণ্ডাল বিচারকের দুই হাতে। এইভাবে চুরমার ভস্মছাই হয় পুতুল সংসার, নির্মাণের হাতিয়ার ভেঙে পড়ে আর্তচিৎকারে; সম্পত্তিটুকু তখনো দূরে দাঁড়িয়ে গোপন মুদ্রায় জাগে এক অনভিপ্রেত সকাল! কান্নার দাগ...
দেবায়ন চৌধুরীজন্ম: ১৯৮৭কোচবিহারে কেটেছে শৈশব। বর্তমানে কলকাতাবাসী। পেশা- অধ্যাপনা। বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র ও লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: যা কিছু আজ ব্যক্তিগত, সম্পাদিত গ্রন্থ: দুর্গামঙ্গল, কোচবিহার: ইতিহাস ও সাহিত্য, কোচবিহার দর্পণ: নির্বাচিত প্রবন্ধ ১খোয়াইমায়ের উদ্বেগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আমার কান্নারাঝরে পড়বার কোনও উপলক্ষ্য থাকে না। তবু…শ্রাবণের...