মুজিব ইরম জন্ম বাংলাদেশে। পড়াশোনা করেছেন সিলেট, ঢাকা ও যুক্তরাজ্যে। বর্তমান বসবাস ব্রিটেনে। তাঁর ১ম কবিতার বই মুজিব ইরম ভনে শোনে কাব্যবান প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালে, বাংলা একাডেমি থেকে। কয়েকটি কবিতাগ্রন্থের নাম: ইরমকথা, লালবই, শ্রীহট্টকীর্তন, পাঠ্যবই ইত্যাদি। কবিতা ছাড়াও গল্প, উপন্যাস এবং শিশু কিশোর সাহিত্য বিষয়ে তাঁর একাধিক বই আছে।...
তোমার চিঠির কোনও উত্তর দিইনি বলে নিকটের রাধাচূড়া বিরাগ সেধেছে গত দীর্ঘ এক ঋতু। কী বলি প্রণয়চালে? অথবা শোকের মতো অশ্বত্থের ঝুরি নামা দেখে বিগত মৃত্যুর কোনও অনুষঙ্গ মনে পড়ে যদি? স্থিতধী উদ্ভিদজন্মে কার শিকড়ের টান কার চেয়ে বেশি, এই নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হলে কার কাছে বিষমাখা এঁটো হাত পেতে কোন নামে কাকে ডাকি ময়দানে শহিদ...
রঞ্জন ভট্টাচার্যজন্ম: ১৯৮১ সালে শ্যামনগরে।কলা বিভাগে স্নাতকপেশা: শিক্ষকতা।কাব্যগ্রন্থ: ছায়া বিকেলের ঘর (২০১৭)  ডাকাডাকি ৩৫তোমাকে আজ পর্যন্ত যা যা বলেছি, বন্ধুরা সব মনোযোগ দিয়ে শুনেছে। তোমাকে সকালের সর্ষে ফুলের মধ্যে বসিয়ে রেখে গোধূলির কচুরিপানার ফুল এনে দিয়েছি। আমি আর তুমি ছোটদের সঙ্গে গোল হয়ে বসে একদিন মিডডে মিল খেয়েছি। একটা মেয়ে...
আমার বঁধুয়া নয়, তবু রাত জেগে দেখি তার অমন আনবাড়ি যাওয়া ধুলোনদী পার হয়ে, ডিঙিতে পদ্মের ছাপ রেখে কার কুঞ্জে এত রাত? ভাবি একদিন কাছে ডেকে কপট জিজ্ঞাসা করি, ভালোমানুষের ছেলে, শোনো- চোখের দিঘলে এসে নদীশব্দ পেয়েছ কখনও? সে ঢেউ আমার নয়। ভীষণ এই আনচান দিনে না, গাঙ্গিনি নই আর। জল নেই যমুনাপুলিনে। খরার ভিতরে জ্বলে হু...
চারিদিকে নিস্তব্ধ অন্ধকার আলগোছে উড়ে চলেছে মেঘ ভেঙে পড়েছে ধৈর্য্যের সীমানা দুই দেশের মাঠের ওপর ভরা পূর্ণিমা। এখানে রাত জেগে থাকে দিনের আলোর মত অন্ধকার ঘুরে বেড়ায় গুটি পায় আলো এক হানাদারীর নাম গোপনে ধ্বংস করে আবেগের গোপনীয়তা। তোমার পরিশ্রম ধোয়া শীতল জলে একফোঁটা নোনতা স্বাদ লেগেছিল সন্ধ্যা নামার আগে পাখিরা ফেরার আগে ভাবে মাটির ভেতর থেকে জলের ভেতর থেকে সবটুকু সুখ ছেঁচে নিয়ে...
खून की निशानी मल्लिका सेनगुप्ता अनुवाद: रेशमी सेन शर्मा मैंने तो कभी तुमपर हाथ नहीं उठाया, पहली बार, जिसदिन तुमने मेरे सीने को चीरकर खून की निशानियाँ भेंट की थी मुझे, उसदिन दर्द तो हुआ था ,पर तुमसे कुछ नहीं कहा शुष्क जमीन पर न गुलाब खिलता है और न नाचता है मोर l फिर भी हमेशा से ही...
জিরাফের পায়ে জল দিতে দিতে গলা লক লক করে আকাশের মেঘ ছুঁয়ে ভাবে, এই তার দেশ ধুলো মেখে পরে আছে আমার স্বদেশ... আমার পায়ের নীচে পাথরের জমি আমার জমির পাশে হাড় কঙ্কাল জিরাফ দেখেছে তাকে! সে কি আজ ভুলে গেছে মায়াময় নদী ভুলে গেছে ধ্যান রত সাধুর আদেশ! ধুলো মেখে পরে আছে আমার স্বদেশ...
জানো, ভিক্ষুক এই তিনদিন আকাশ হয়েছে, প্রভু সিন্নির পাত্রে মিশিয়ে খেয়েছে অনেক মায়া-প্রবন্ধ--- জানে জনে-জনে… বিদ্বান হল দেহ-মন তাই! প্রতিটি পাতায় সংকেত পাই রোদ ওঠে রোদ পড়ে যায় জলে সন্ধ্যা আসেন, প্রবন্ধ বলে: ‘আমার মধ্যে প্রতিষ্ঠা কর’ যত নারীস্রোত, ততদূর নর প্রবন্ধকার তুলসি-মালিকা আমি আশ্রিত, তিনিই চালিকা তবু ভিক্ষুক অসম সাহসী কাঁধে টিয়া পাখি, ডাকনাম: শশী তিনদিন ধরে ওরা খড়কুটো আগলে রেখেছে ঝড়ের উঠোন বাকি...
আমাদের আর কিছু নেই শুধু জড়িয়ে ধরতে পারি বাজ বিদ্যুতে ঝড়ে বা তুফানে হাহাকারে মহামারি যা আসে আসুক বুঝে নেব এই বুকের কলিজা পেতে তোমার জন্য রুটি রাখা আছে তোমার জন্য ভাত... এসো আজ এই গল্প করবো পথ দিয়ে যেতে যেতে... যাই হোক যদি অন্যায় দেখো নোয়াবে না আর মাথা.. তোমাকে লিখছি চোখে চোখ রাখো সন্ধ্যার ঝরা পাতা ...
সেই কবেকার সোনাঝুরি জঙ্গল থেকে উঠে এসেছিল শব্দটা। তারপর কত মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল পেরিয়ে মৃত্যুগন্ধ শরীরে মেখে, কমলালেবু রঙের দুপুর পেরিয়ে, থ্রি জি কিংবা ফোর জির চক্করে পড়ে ব্ল্যাকহোলের মতো পরিণত হচ্ছিল নির্মম পরিহাসে - শুধু চিলেকোঠায় পৌঁছে যখন চোখে পড়ে গেল ধুলোময় খাট, আমার বাল্যকালের পড়ার টেবিল, ভাঙা রেডিওটাকে দেখে যখন...
বড় মুখ করে বললে, সংসারই চলে না এবার কবিতাটা ছাড়ো ভিতরটা তোলপাড় করে দিলে এতদিনের সখ্যটা নিজে-নিজেই খেলে তোমাকে বোঝানোর ভাষাই নেই কবিতা নেশাও নয়, কবিতা পেশাও নয় কবিতার জন্যে মই বাইতে হয় না কবিতার জন্যে আকাশেও উড়তে হয় না মাটিতেও টলতে হয় না আমার সংসার আর কবিতা মাখামাখি ওরা সহাবস্থান জানে, ওরা রাগ-অনুরাগ জানে ওরা জানে কবিতা সম্রাটের আর একটু...
এমন কোনও বৃষ্টি নেই এমন কোনও দৃষ্টি নেই মেঘলা নেই যাতে এমন কোনও ক্রান্তি নেই এমন কোনও ভ্রান্তি নেই ছায়ার চেয়ে গাঢ় এমন কোনও আগল নেই এমন কোনও বাকল নেই বনস্পতি মায়া এমন কোনও প্রান্ত নেই এমন কোনও শ্রান্ত নেই বিরহ যার আয়ু এমন কোনও শব্দ নেই কাল কিংবা অব্দ নেই নিরপেক্ষ, সাদা এমন কোনও পাত্র নেই এমন দিবা রাত্র নেই জলের দরে বুক এমন কোনও ভূমিও...
হাত-বদলের হাসি আমাকে আশ্বস্ত করে নৌকা খুলে রাখে। এবার পতন হবে: যেমন দক্ষিণা দেবে এই পরপারে মন্ত্রোচ্চারণে কাঠের তৃষ্ণা তেমনই উজ্জ্বল হবে অমাবস্যা ঢালা হবে শ্বেতকরবীতে তুমি কি মাধবী ছিলে? জলতলে অনাগত নিমগ্ন সূর্যাস্ত? পাতাবাহারের রাতে কোমল কড়ির খেলা এমন উদিত হবে শ্রীপুষ্পসঙ্কটে না জানি আকর্ষ তার কার কাছে ভেসে ভেসে যাবে খুঁটে বাঁধা অভিকর্ষ--এমন আরতি...
কত ছদ্মবেশ জানে তোমার প্রতিভা অহংকারে নষ্ট এক নিষেধের মতো নেশায় আকুল হই। কত বিপ্রতীপে ঘাই মারে মাছের স্বভাবে মন ডুবে ডুবে জল খাওয়া চরিত্রের পেটে এত বুদ্ধি ধরো তবু এত রাগ সামলাও কী করে! তোমাকে নেব না ভেবে টেনে আনি ছোঁব না আঘাত তবু দাও কলতলায় যেভাবে বালিশ পেতে ধুয়ে দিলে মুখ্যুসুখ্যু ভ্রমে অন্ধ চোখের...
রিয়া চক্রবর্তীজন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায়। দুটি কবিতার বই প্রকাশ পেয়েছে ‘নিয়ন আলোর দৃশ্যরা’ এবং ‘রাই পদাবলী’। দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন।আলোর গল্পআমার পাঁজর থেকে একটা একটা করে খুলে নিচ্ছ হাড়,আর বাঁধ ভেঙে ছড়িয়ে পড়ছে আমার বুক ভরা স্বপ্নেরা...দু হাতের আঙুল থেঁতলে দিচ্ছো,যাতে না কোনও দিন স্ফুলিঙ্গরা দাবানল...
সোনালী ঘোষ জন্ম: ১৯৮৬শূন্য দশক থেকে লেখালিখি।থাকেন কল্যাণীতে।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে।স্রোত১বৃষ্টি থামার পর,জান্তব ফোঁটাকে জিগ্যেস করেছিলাম,'এত নিখুঁত তালিমপেলি কোথা থেকে?'২প্রচ্ছদ ছেঁড়ার পর,মনের গভীরেযে কষ গড়ায়,সে তো চন্দন ঘষা জল!৩বিদ্রোহ যার কাছে গিয়েনীরব হয়ে আসে,তাকে আমি বলিনিষিদ্ধ প্রেতপুরী।৪কত মুহূর্ত যায় ভেঙেগুঁড়িয়ে যায় হিরোসিমা,অবাধে তৈরি সরণীর কাছেবেফিকর দিল রাখব না...৫দফায় দফায়...
শরতের হাওয়া বইতে শুরু করলেই কাগজে কাগজে তার চিহ্ন ফুটে ওঠে এ'দুয়ের মাঝে কোন মিল আছে বুঝি! হয়তবা আছে, ভোরের শিউলি ফোটে মায়ের প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে দীপাবলি পর্যন্ত ছবি তৈরি হয়ে যায় কাগজপত্রে, পুজো সংখ্যা কত কত কবিতার ঝুরি, শব্দের বন্যা বয়ে যায়, কে পড়ে? কারা? নাকি পড়ে থাকে টেবিলে? আমিত্বের বিজ্ঞাপন সংখ্যা গুনে নেয় কটা হল! কেউ কাউকে কি মনে...
নিজের শর্তে কলার তুলে বাঁচার মধ্যে একটা অদৃশ্য ডুয়েল থাকে পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রির গনগনে খিদে নিয়ে কুড়িতলার হাসিখুশি নির্মাণ করে যারা তারাও তো জীবনকে দুয়ো দেয় আমি তো স্বপ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ব্যাস সূর্যকে চাঁদ ধরে নিচ্ছি একুশের চন্দ্রদোষ রাশিচক্র বরাবর সব অঙ্ক ঘেঁটে দেয় ওহে হাইহিল মেবলিন দুহিতা পকেটে হিমালয় নিয়ে জন্মানো তোমার দিব্বি দু-চোখে লোডশেডিং হলে আমিও মগ্ন মৈনাক দুপুর...
আমার রক্তের মধ্যে আজীবন সমুদ্রের শব্দ শোনা যায়, সমুদ্রের কাছে আমার যাওয়া হয় না খুব একটা। তবু অফিস- বাড়ি, বাড়ি - অফিস করতে করতেই সমুদ্রের ডাক আমার শিরা উপশিরায় কোলাহল কল্লোল তুলে আসে। প্রেমিকার ডাকের মতোই সে ডাক উপেক্ষা করা যায় না।
বেদনা, পরমসত্য তীরে এসে ডুবে যাবে তরী বেদনা, পরমসত্য এর উপর আর কথা নেই বেদনা, পরমসত্য পথে চলবে, সে তোমার সাথে চলবে না অথচ আরোগ্য সে-ই, দূরে বসে একমাত্র সে-ই পরিত্রাণ বেদনা তাকেই পালটা দোষ দাও, যত ভুল একমাত্র তার সেও তো তোমায় চেনে, সেও জানে পাতা উলটে পরে চলে যাওয়া বেদনা পরমসত্য, এর কোনও শেষ নেই বলতে...