রঞ্জন ভট্টাচার্যজন্ম: ১৯৮১ সালে শ্যামনগরে।কলা বিভাগে স্নাতকপেশা: শিক্ষকতা।কাব্যগ্রন্থ: ছায়া বিকেলের ঘর (২০১৭)  ডাকাডাকি ৩৫তোমাকে আজ পর্যন্ত যা যা বলেছি, বন্ধুরা সব মনোযোগ দিয়ে শুনেছে। তোমাকে সকালের সর্ষে ফুলের মধ্যে বসিয়ে রেখে গোধূলির কচুরিপানার ফুল এনে দিয়েছি। আমি আর তুমি ছোটদের সঙ্গে গোল হয়ে বসে একদিন মিডডে মিল খেয়েছি। একটা মেয়ে...
ওয়াহিদা খন্দকারবেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা লিখছেন ওয়াহিদা।বাস্তব ও অতিচেতন মিলে তাঁর কবিতা হয়ে ওঠে বিপন্ন পৃথিবীর গল্প।এর আগে প্রকাশিত হয়েছে ‘নীরব দশমিকের ভিড়’।তাঁর নতুন কবিতার বই ‘বিবর্ণ সিলেটের সমীকরণ’। হ্রেষাবারবার ভেঙে যায় সাজানো দাবার ঘরবাড়ি।সংস্কারের পর,প্রত্যেকবার ভেবেছি গুছিয়ে খেলব।বেঁচে থাকার এ খেলায়সাদা সাদা গাছ। পাখি, সমুদ্র, জনতা...সবই...
দেবাশিস তেওয়ারীজন্ম ১৯৮২২০০২ সালে দেশ পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মধ্যে দিয়ে পাঠকসমাজে পরিচিতি।বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে নিয়মিত লেখালিখি করেন। অনুবাদ সাহিত্যে আগ্রহী।প্রকাশিত হয়েছে ছয়টি কবিতার বই।নারীভিতরে ভিতরে একটা মেঘের জন্ম হলেবৃষ্টি পড়ে, ঝমঝমিয়ে ভিজতে থাকে পাতাবাহারের পাতা।তোমার রংবেরঙের ইচ্ছেডানা মেলে উড়তে থাকে আরকুর্নিশ জানায় আমার আঁধার রাতের অশনিকে।সামনের লন তখনও ভেজেনি অথচভিতরে ভিতরে...
মৌসুমী মুখোপাধ্যায়জন্ম সত্তর দশকের প্রথমার্ধে। শিক্ষা ইংরেজি সাহিত্যে এম এ। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় শুকতারা পত্রিকায়। প্রথম কাব্যগ্রন্থ শামুকজন্ম। অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ -বিষণ্ণ দাবার কোর্ট, তোমার ইঙ্গিত বুঝি, পুর্বপুরুষের ছায়া, নক্ষত্রবাড়ি, খাদের কিনারে একা। ২০১৫ সালে বনলতা পুরস্কার, ২০১৬ সালে অমিতেশ মাইতি স্মৃতি পুরস্কার, ২০১৭ সালে নতুন কৃত্তিবাস পুরস্কার পেয়েছেন।উদাসীন...
বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়হৃদরোগ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।কবি, গল্পকার, গদ্য লেখক এবং অনুবাদক। প্রকাশিত বই সংখ্যা ১৪সম্পাদনা করেছেন একাধিক বাঙলা ও ইংরেজি পত্রিকা।কবিতার জন্য পেয়েছেন দু’টি পুরস্কার।ভালো শহরখারাপ শহর থেকে ভালো শহরের দিকে কবে যাব?যে পথ দেখাবে সেওপথ হারিয়েছে।কালো চশমা পরে আমিহাসপাতালের গেটে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছি।পথে কেউ নেই।প্রতিটি পায়ের শব্দ, এ শহরে, সন্দেহজনক।কেউ...
রঙ্গন রায়জন্ম: ১৯৯৮জলপাইগুড়িতে বসবাস।বাংলা সাম্মানিক স্নাতক স্তরে পাঠরত।কাব্যগ্রন্থ: প্রাপ্তবয়স্কতার পূর্বদিকহিরোশিমার প্রেমিকজোয়ান বীজের গানের কাছে আমার অনেক স্মৃতি জমা পড়ে আছে।অনেকদিন পর যখন আমাদের কথা হয় অনেক অনেক দূর থেকেআমি টেকনোলজির কাছে মাথা নত করে ফেলি, আকন্ঠ প্রেম নিবেদন করি--বাড়ি ফেরার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়, যখন কিছুক্ষণের জন্য সমস্তসময় অতিক্রম...
সোনালী ঘোষ জন্ম: ১৯৮৬শূন্য দশক থেকে লেখালিখি।থাকেন কল্যাণীতে।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে।স্রোত১বৃষ্টি থামার পর,জান্তব ফোঁটাকে জিগ্যেস করেছিলাম,'এত নিখুঁত তালিমপেলি কোথা থেকে?'২প্রচ্ছদ ছেঁড়ার পর,মনের গভীরেযে কষ গড়ায়,সে তো চন্দন ঘষা জল!৩বিদ্রোহ যার কাছে গিয়েনীরব হয়ে আসে,তাকে আমি বলিনিষিদ্ধ প্রেতপুরী।৪কত মুহূর্ত যায় ভেঙেগুঁড়িয়ে যায় হিরোসিমা,অবাধে তৈরি সরণীর কাছেবেফিকর দিল রাখব না...৫দফায় দফায়...
অরিন্দম রায় জন্ম: ১৯৮০ সালে। হাওড়ার বাসিন্দা।এখন কর্মসূত্রে মুর্শিদাবাদবাসী।ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর।প্রকাশিত কবিতার বই: অষ্টধাতুর পৃথিবী,শবসাধনা, রোজনামতা, নির্বাচিত শূন্য।সম্পাদিত পত্রিকা: লালন। গীতিকাসমকাল ভরা চাতুরীইতিহাস ছিল মিথ্যেহ্যান্ডেল ভাঙা হাতুড়িফাংগাস মম চিত্তে!সকলেই ভালো চেয়েছেকেউ তো মন্দ চায় নাপেট ভরে যত খেয়েছেতত বেড়ে গেছে বায়না!মেঘের ওপরে কাকেরাউঠে ত্যাগ করে বিষ্ঠাতুমি তাকে ভাবো চন্দনতুমি তাকে ভাবো...
সুমন মল্লিকজন্ম ১৯৮৫ সালে কোচবিহারে৷ বর্তমানে শিলিগুড়িবাসী৷ ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর  পেশায় শিক্ষক৷  প্রকাশিত কবিতার বই পাঁচটি ৷ শখ : ভ্রমণ, গান শোনা, সিনেমা দেখা, ছবি তোলা এবং বই পড়া ৷সেসব কথাসেসব কথা জানে শুধু প্রিয় নদী৷চাঁদের আলোর মাঝে কীভাবেএকটুকরো অন্ধকারে আমি আর তুমিচকোর হয়ে যেতাম...কীভাবে আমাদের বুকের ছলাৎছলমিশে গিয়ে...
মধুমিতা চক্রবর্তী রিমি দে অনিন্দিতা গুপ্ত রায় মনোনীতা চক্রবর্তী মাধবী দাস পঞ্চ কবির কবিতাকেন যাবমধুমিতা চক্রবর্তীযাব না কোথাও,ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ মেখে নিশিন্দা পাতার মত লেপটে পড়ে থাকবপোরবস্তিতে, ডিমা নদীর তীরে।ডলোমাইট ভেসে আসা সাদা জলে চাল ধুয়ে ভাত বসাব,চারটে ভাত ছ'জন মিলে খাব, গেঁড়ি গুগলি মেটে আলু সেদ্ধ মেখে...বর্ষা বাদলা হিম জোনাকির আলো নিয়ে...
কুমারেশ তেওয়ারী জন্ম আসানসোলের কন্যাপুরে। পড়াশোনা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালিখি করেন। প্রকাশিত কবিতার বই: ‘জুড়ন পুকুর’, ‘ব্যালেরিনা ও নকশি কাঁথায় নষ্ট গন্ধ’, ‘শব্দ স্নানে বেজেছে এস্রাজ’।আট পংক্তির কবিতাযাপনপ্রকৃত সংলাপে থাকে নাটকের প্রানবন্ত রূপথিয়েটারে মায়া ওড়ে ছায়া ঢাকে কুয়াশার ঋণরূপের অরূপে থাকা যাপনের নেশাটি রঙিনঅন্তরালে পুড়ে যায় সুগন্ধের পরিযায়ী...
সুবীর সরকার জন্ম ১৯৭০ সালে। বেড়ে ওঠা উত্তর জনপদের কোচবিহার শহরে। নয়ের দশকে কবিতা লিখতে এসেছেন। ভিন্নধর্মী গদ্যও নিয়মিত লিখে থাকেন। বেশ কয়েকটি কবিতা ও গদ্যের বই রয়েছে। লেখা পড়া আর হাটগঞ্জের ভিতর ঘুরে বেড়ানোর যাপনেই মেতে থাকেন। প্রকাশিত হয়েছে একাধিক কবিতার বই।বাহান্নঘর কলোনি থেকেবাহান্নঘর কলোনি থেকে আমি আর্তনাদ তুলেএনেছিজোড়া...
ধীমান ব্রহ্মচারী জন্ম ১৯৮৭ সালে, মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে। বাংলায় স্নাতকোত্তর। বর্তমানে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীতে কর্মরত। কবিতা লেখালিখির পাশাপাশি প্রায় দশ বছর ধরে পত্রিকা সম্পাদনার কাজে যুক্ত। প্রথম সম্পাদিত পত্রিকা ‘কবিতা বুলেটিন’। এখন সম্পাদনা করেন মাসিক পত্রিকা ‘এবং অধ্যায়’।ছেন।বিলীনশহর থিতিয়ে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত রাস্তার ওপরকোথাও নির্জনতা আবার কোথাও ঝুলন যাত্রা;আর এমনই...
দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়জন্ম: ১৯৯২ ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর।প্রকাশিত কবিতার বই:আমি অলকানন্দা ও ডায়েরির নীল পাতা (২০১৮)ভালবাসার ডাকপাখি (২০১৯)যেখানে নেমেছে রাত্রিযেখানে নেমেছে রাত্রিযেখানে নিবিড় গন্ধমাখা পুরনো কিছু বিকেলশ্মশান ধোঁয়ার অভিসার আতরের মতোঘুমে বুঁদ হয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়ার প্রেমিকসুইসাইড নোটের না লেখা পাতাআর প্রশ্ন...রাইন নদীর তীরে শীততখনও সকাল হয়নিশুকনো পাতারা হাওয়ার স্রোতেতোমার...
স্পন্দন চট্টোপাধ্যায়উত্তরপাড়া রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাশ করে এবং পরে ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, আগরতলা থেকে স্নাতকোত্তর পাঠক্রম সম্পূর্ণ করেন ২০১৭ সালে। প্রকাশিত বই: ‘রিটার্ন টিকিট নেই’, ‘ক্লিভেজ জুড়ে দেওয়াল লিখন হোক’। বর্তমানে মুম্বইয়ে Cine Riser Digital Media Pvt. Ltd.–এ Content Writer, Editor & Social Media Executive হিসেবে কর্মরত।ছায়াসবারই...
সতীন্দ্র অধিকারীজন্ম ১৯৯২ সালে।বাঁকুড়া জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম নিত্যানন্দপুরে বেড়ে ওঠা এবং বসবাস।পেশা: টিউশন! শৈশব থেকে লেখালেখির শুরু।বিষাদভাষাহীন নিঃস্তব্ধ রাত্রির মতন কারো চেয়ে চেয়েথাকতে ভালো লাগে সাতাশটা বছর!সারা রাত জেগে কি করে মানুষেরা শাদা পাতায়মহাজাগতিক শূন্যতা আর শূন্যতার ভিতরলিখে রাখা সেই সব হাহাকারগুলি।একদিন রিখটার স্কেলও চৌচির হয়ে ছড়িয়ে পড়বেমেঝের ওপর।...
সবর্না চট্টোপাধ্যায়প্রকাশিত বই ‘চারদেওয়ালি চুপকথারা’।বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, দৈনিক এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে লেখালিখি।প্রবন্ধ লেখেন বিভিন্ন বিষয়ে।কিশোর সাহিত্যে আগ্রহ রয়েছে।দেশলাই১.পলকা টোকায় ভেঙে গেল জলের পাঁচিল…দুটো পা বালির ভেতর।পাড় ভাঙছে হুড়মুড় করে...যে চোখ স্তব্ধতায়, অস্থির…আবার একবার সতীদাহ। গভীর খাদে একসঙ্গে ঝাঁপ…২.কত পথ হেঁটেছে একা সময়। কেঁদেছে আড়াল!ক্ষয়ে গেছে হাড়। মৃত শব্দের যন্ত্রণায় কাঁথা...
সঞ্চারী ভৌমিকপ্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্রী।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালিখি।একমাত্র বই ‘আলপনা বাড়ি‘।১.খুব বৃষ্টি  হলে  মাটির  রঙ বদলে  যায়,বৃষ্টিতে  ভেজা  নরমমাটি কে  দেখলে  আমার  মায়ের  কথা  মনে পরে;সোঁদা গন্ধের  গায়ে  লেগে  থাকে  সদ্যমাঠ থেকে  ফিরে  আসা মায়ের  ক্লান্তিজল।বৃষ্টিতে  মাটির  সর্বশরীর  ভেজে, আগুনআঁচ  আমার  মায়ের  শরীর  ভেজায়।তখন...
রিয়া চক্রবর্তীজন্ম ও বেড়ে ওঠা কলকাতায়। দুটি কবিতার বই প্রকাশ পেয়েছে ‘নিয়ন আলোর দৃশ্যরা’ এবং ‘রাই পদাবলী’। দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন।আলোর গল্পআমার পাঁজর থেকে একটা একটা করে খুলে নিচ্ছ হাড়,আর বাঁধ ভেঙে ছড়িয়ে পড়ছে আমার বুক ভরা স্বপ্নেরা...দু হাতের আঙুল থেঁতলে দিচ্ছো,যাতে না কোনও দিন স্ফুলিঙ্গরা দাবানল...
সাম্যব্রত জোয়ারদারপেশায় সাংবাদিক। লেখালিখি শুরু নয়ের দশকে। বিজল্প পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। প্রথম বই ‘পাখিদ্বীপ জাদুওলা বন্ধুপদাবলী’। তিন বন্ধু একসঙ্গে। ছবি আঁকতে, ছবি তুলতে ভালোবসেন। প্রিয় বই: গীতবিতান।নির্বাচিত অংশের প্রতিধর্ষণ ও খুনের লেখা, মুখিয়ার পরগনা শালগাছ পাতা কুড়ানিরা, চুপচাপ চান্দ্রমাসে ঝরে গেছে। ক্যালেন্ডারে গোল চিহ্ন ঋতুস্রাব এলোমেলো শহরের পথ, খাদি...